২৪ জুলাই, ২০১৭ ১৮:০৯

পাহাড় ধসের শঙ্কা, ফের খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড় ধসের শঙ্কা, ফের খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ

বর্ষার বর্ষণে পাহাড় এখন উত্তাল। বাড়ছে পাহাড় ধসের শঙ্কা। দেখা দিয়েছে জনমনে নতুন করে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা। তাই রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ফের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

জানা গেছে, গত চার দিনের টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটিতে নতুন করে পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বাড়ছে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ। কোথাও ভাঙছে সড়ক। কোথাও ভাঙছে ঘর-বাড়ি। রাঙামাটি জেলাজুড়ে প্রায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনা। পার্বত্যাঞ্চলে এখন কোন পাহাড়ই রক্ষিত নেই। কোথাও গাছ উপরে পড়েছে। কোথাও পাহাড়ে মাটি আঁচড়ে পড়েছে। আবার অনেক স্থানেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা ঘর-বাড়িসহ ফসলি জমির চিহ্ন। 

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন জানান, গত ১৩ জুনের পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সবগুলো সড়কে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিভিন্ন অংশে বিধ্বস্ত হওয়ায় রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কটি সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। 

টানা মেরামতের পর ১৫ জুলাই হালকা যান চলাচল খুলে দেয়া হয় সড়কটি। কিন্তু অবিরাম বৃষ্টি হওয়ায় আবার ধসের আশঙ্কায় সাময়িকভাবে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের ৮ কিলোমিটার স্থানে কুতুকছড়ি খামারপাড়া থেকে কিচিংপাড়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এছাড়া সড়কটির ২০ থেকে ২৫টি স্থানে মারাত্মক ধস হয়েছে। মেরামতের কাজও অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু বৃষ্টিপাতে আবার ধসের আশঙ্কায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এদিকে, পাহাড়ে ধসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানিও। এতে রাঙামাটি জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। পাহাড় ও কাপ্তাই হ্রদ ঘেষে বসবাসরত মানুষগুলোর আতঙ্কে কাটছে দিন। 

এ ব্যাপরে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবদুর রহমান জানান, রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদে স্বাভাবিক অবস্থায় পানি থাকে ৮৭.৫২ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু হ্রদে বর্তমানে পানি রয়েছে ১০৫.৩৯ ফুট (এমএসএল)। প্রয়োজনের তুলোনায় হ্রদে ১৮ ফুট পানি বেশি রয়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হ্রদে প্রতিদিন পানির পরিমাণ বাড়ছে। এতে কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ছে। 

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়া শুরু হয়েছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ে প্রায় ২ ফুট হারে পানি ছাড়ে দেওয়া হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/২৪ জুলাই ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর