২৪ জুলাই, ২০১৭ ২২:২৩

নোয়াখালীতে বেড়েই চলেছে জলজট-যানজট

আকবর হোসেন সোহাগ, নোয়াখালীঃ

নোয়াখালীতে বেড়েই চলেছে জলজট-যানজট

নোয়াখালী পৌরসভার ছোট-বড় খালগুলির খনন কাজ বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পৌর এলাকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় খালগুলি খনন কাজ প্রায় বন্ধ।
অপরদিকে সকড়ের পাশ ঘেঁষে খাল ও রাস্তার ফুটপাত দখল চলছে। খাল আর পুকুর ভরাট করে চলছে মার্কেট নির্মাণ। জেলা শহরের দত্তের হাট, মাইজদি, সোনাপুর থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সড়কের পাশে চলছে খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ। ফলে নোয়াখালীর নিন্মাঞ্চলে জলজট এবং প্রধান সড়কগুলোতে যানজট বেড়েই চলেছে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরের মালিকানায় নোয়াখালী জেলায় অন্তত ২৮৮টি খাল রয়েছে। তন্মধ্যে নোয়াখালী খাল, ওয়াপদা খাল, বামনী খাল, মহেন্দ্র খাল, দত্তের হাট ছাগল মারা খাল, বেড়া মারা খাল, গাবুয়া ছয়ানী খাল, আটিয়া বাড়ি- রাজগঞ্জ খাল দিয়ে পানি নামার মূল মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হতো।

কিন্ত চৌমুহনী বাজারের এলাকাধীন ‘নোয়াখালী খাল’সহ সকল খালগুলো অবৈধরা দখল করে প্রায় নালায় পরিণত করেছে। জেলা পরিষদ ও  সড়ক বিভাগের মালিকানার খাল গুলো অবৈধ দখল নিয়ে ভরাট করে দোকান ও মার্কেট নির্মান বা মাছ চাষের নামে দখল করায় পানি নামার কোন পথই নাই। চৌমুহনী চৌরাস্তার আশ পাশের খাল গুলো দখল করে গড়ে উঠছে দোকান ঘর।

গত চার দিনের বৃষ্টিতে প্রধান রাস্তার প্রতিটি সংযোগ সড়কে ও সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। সকল ধরনের পরিবহন প্রধান রাস্তায় এসে গেছে। আবার রাস্তার মধ্যেই সিএনজি অটো টেক্সীর অবৈধ ষ্ট্যান্ড করে পুরো প্রধান সড়কে যানজট তৈরী করছে। রিক্সা রাখার নির্ধারিত জায়গা থাকলেও তারা মানছে না। সকল অনিয়ম দীর্ঘায়ু হয়ে জেলা শহর নোয়াখালী পৌরসভায় জলজট আর যানজটে নাকাল শহরবাসী।


নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত রায় বলেন, নোয়াখালী পৌরসভার উন্নয়ন কাজে মাষ্টার প্লান মোতাবেক কাজ চলছে। নির্মিত মূল ড্রেনের সংযোগগুলো সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না। রিক্সা-সিএনজি- বাসগুলো নির্ধারিত ষ্ট্যান্ড ব্যবহার করলে যানজট থাকার কথা নয়। ইতোমধ্যে পৌরসভার প্রধান সড়কে রিক্সা চলতে দেয়া হয় না। ব্যাটারী চালিত অটোগুলো কমানোর চেষ্টা চলছে।

নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড  নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম  বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডে তত্বাবধানে কমবেশী খাল খনন করা হয়ে থাকে। তবে গত ৫ বছরে কোন খাল খনন করা হয়নি। আগামীতে খনন করার পরিকল্পনা আছে। বরাদ্ধ পাওয়া গেলে খনন করা হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন খাল দিয়ে রহমত আলী বা মেঘনায় পানি নামে। বর্তমানে  জোয়ারের পানি আর বৃষ্টির কারনে নোয়াখালীর নিম্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। নদী খনন করে হয়তো এ সমস্যার কিছু সমাধান সম্ভব।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর