সপ্তাহব্যাপী একাটানা বৃষ্টি ও অামাবশ্যার প্রভাবে উপকূলীয় উপজেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের নদী ও খালে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুট বেড়ে গেছে। এতে পৌরসভাসহ নদীর তীরবর্তী ৮টি ইউনিয়নের শত শত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পৌরসভার ফেরিঘাট এলাকায় জাইকা নির্মিত একটি পিচ ঢালাই সড়কসহ ৩টি ইউনিয়নের কয়েকটি কাঁচা-পাকা সড়কের অংশ বিশেষ নদী গর্ভে চলে গছে। তলিয়ে গেছে ৬ শতাধিক মৎস্য ঘের ও ৫০ হেক্টর আমন বীজতলা।
জানা গেছে, অবিরাম বৃষ্টি ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে পৌরসভার ১, ৩, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ড, অন্যান্য ইউনিয়নের গাবতলা কাঠালতলা, পঞ্চকরণ, দেবরাজ, বারইখালী গ্রামের কমপক্ষে এক হাজার পরিবার ও গৃহপালিত পশু পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে।
৯০নং ঘসিয়াখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেমিনি ফেরদৌস জানান, রাস্তা ধসে যাওয়ায় ওই বিদ্যালয়টিতে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। পঞ্চকরণ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার জানান, ওই ইউনিয়নে ৩শ’ একর আমন বীজতলা ও ৫শ’ মৎস্য ঘের ডুবে রয়েছে।
খাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানম্যান মাস্টার আবুল খায়ের জানান, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে ৩ কি. মি. ইট সোলিং ও ৬ কি.মি কাঁচা রাস্তা ধ্বসে পড়েছে। পানির নীচে রয়েছে ২শ’ একর আমন বীজতলা ও ১৫টি মৎস্য ঘের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপম রায় জানান, কমপক্ষে ৫০ হেক্টর আমন বীজতলা ডুবে রয়েছে। তবে পানি না কমা পর্যন্ত ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরূপন করা যাচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/২৫ জুলাই ২০১৭/হিমেল