বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি হয়েছে। টানা প্রায় চারদিনের প্রবল বৃষ্টির কারণে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ফলে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রামসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ তিনদিন ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া লামার মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় সড়কে পাহাড় ধসে মাটি পড়ে থাকায় সদরের সাথে লামা-আলী কদমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বান্দরবান পৌর এলাকার আর্মীপাড়া, শেরে বাংলা নগর, ইসলামপুর, মেম্বারপাড়া, বালাঘাটা, কালাঘাটাসহ আশপার্শের নিম্নাঞ্চলের বন্যার পানি প্রবেশ করায় এই এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে কখনো প্রবল বর্ষণ আবার কখনো থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গত রবিবার থেকে বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বাজালিয়া এলাকার সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এবং বান্দরবান রাঙামাটি সড়কের পলুপাড়া এলাকা পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে বান্দরবানের সাথে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।এদিকে, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। বান্দরবান সদরের পলুপাড়ার ব্রিজটি ডুবে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দরা নৌকা করে পারাপার হচ্ছে। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
বিডি প্রতিদিন/২৫ জুলাই ২০১৭/এনায়েত করিম