২৫ জুলাই, ২০১৭ ২১:০৭

সিরাজগঞ্জে ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জে ৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট

মহাসড়কের খানাখন্দের কারণে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকা-উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। 

মঙ্গলবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বনপাড়া, বগুড়া ও পাবনাগামী মহাসড়কগুলোতেও এ যানজট দেখা দেয়। 

শ্যামলী পরিবহনের চালক সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল ৭টায় রংপুর থেকে গাড়ি ছেড়েছি। চান্দাইকোনা থেকে যানজটের কবলে পড়ে ঘুড়কা বেলতলা পর্যন্ত এসে পৌঁছেছি বিকেল ৫টায়। 

বগুড়া থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের চালক খোকন বলেন, চান্দাইকোনা থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২০ মিনিটের পথ আসতে সময় লেগেছে প্রায় ৫ ঘণ্টা। 

এস আর গ্রীন পরিবহনের চালক আব্দুর রহিম বলেন, মহাসড়কে এতটাই যানজট যে যাত্রীরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অসংখ্য যানবাহনকে। 

রাজশাহীগামী রজনীগন্ধা পরিবহনের যাত্রী সোহাগ জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত মাত্র ১৯ কিলোমিটার রাস্তা আসতে সময় লেগেছে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। সর্বোচ্চ ৫ কিলোমিটার বেগেও কোনো যান চলাচল করতে পারেনি। এতে যাত্রীরা শুধু নয়, পরিবহনের চালক ও হেলপাররাও হতাশ হয়ে পড়েছেন। 

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার তদন্ত ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, হাটিকুমরুল নলকা সেতুর সংস্কার কাজ শুরু চলছে। এ কারণে একটি লেনে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে সকাল থেকেই যানজটের সূত্রপাত ঘটে। ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে থানা, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানা ও সলঙ্গা থানা ও ট্রাফিক পুলিশ যৌথভাবে যানজট নিরসনে কাজ করছে। 

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রফিক জানান, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে বগুড়া মহাসড়কের চান্দাইকোনা প্রায় ২০ কিলোমিটার ও বনপাড়া মহাসড়কের নাইমুড়ী বাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এ যানজট নিরসনে পুলিশের কিছু করার নেই। 

নলকা সেতু ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার মেরামত কাজ শেষে হলেই এ যানজট নিরসন হবে বলেও তিনি জানান। 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, সকাল থেকেই মহা ঝামেলার মধ্যে রয়েছি। কিছুতেই যানজট নিরসন করতে পারছি না। 

সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো মেরামত করা হচ্ছে। তবে কয়েকদিন সময় লাগবে। এসব কাজ শেষ হলে রাস্তায় আর যানজট থাকবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিডি প্রতিদিন/২৫ জুলাই ২০১৭/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর