২৫ জুলাই, ২০১৭ ২১:১৪

মাদারীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যাচেষ্টা, হাত বেঁধে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যাচেষ্টা, হাত বেঁধে কুপিয়ে জখম

মাদারীপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে হাত বেঁধে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে স্থানীয়রা। 

হাসপাতাল, পুলিশ, পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের পাট ব্যবসায়ির মেয়ে ছিলারচর দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসায় যায়। 

মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে বোরকা পরা অচেনা একটি মেয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুদুর গেলে ওই শিক্ষার্থীকে ওড়না দিয়ে হাত বাঁধে। পরে শিক্ষার্থীর মুখ ও চোখ বেঁধে ফেলে। এসময় তাকে টেনে হিচড়ে ছিলারচরের সীমান্তবর্তী শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীকান্তাপুর চর শিমুলিয়া গ্রামের মোতালেব বেপারীর পরিত্যক্ত কলাবাগানে নিয়ে যায়। 

এ সময় শিক্ষার্থীকে ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের বোরকা পরা মেয়েসহ মুখে কাপড় বাঁধা কয়েকজন যুবক মিলে প্রথমে মারধর করে। পরে ব্লেড দিয়ে শিক্ষার্থীর হাতে ও বুকে আঘাত করে। এসময় শিক্ষার্থী চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. অখিল চন্দ্র সরকার বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে আমরা তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছি। তার হাত ও বুকের জখমের চিহ্ন আছে। হাতের জখম গুরুতর হওয়ায় সেখানে সেলাই দেয়া হয়েছে। তাছাড়া মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা করা হয়েছে। 

শিক্ষার্থীর মা বলেন, প্রতিদিনের মতো আমার মেয়ে মাদ্রাসায় যায়। দুপুরে ছিলারচর বাজার থেকে ঘটনার কথা শুনে আমরা ছুটে এসেছি। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার মেয়েই বলতে পারবে। তবে আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই। অপরাধীদের শাস্তি চাই। 

ওই শিক্ষার্থীর কাছে এই ব্যাপারে জানতে চাইলে সে জানান, মাদ্রাসার ছুটির পর আমি একটি অটোবাইকে করে ছিলারচর বাজারে আসি। সেখানে অটোবাইক থেকে নামার পর একটি বোরকা পরা মেয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। আমি তাকে চিনি না। কিছুদুর যাবার পর আমার হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে টেনে নিয়ে যায়। পরে পাও বাঁধে। একটি বাগানে নিয়ে আমাকে মারধর করে। একপর্যায় তারা আমার হাত ও বুকে ব্লেড দিয়ে আঘাত করে। এরপর তারা আমার মুখ থেকে কাপড় সরায়। এসময় তারা আমাকে দেখে বলে- এই মেয়ে না, এটা অন্য মেয়ে। এই বলে তারা আমাকে ফেলে রেখে যায়। আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে কি হয়েছে আমি জানি না। 

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে চলে এসেছি। মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি-প্রতিদিন/২৫ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর