চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানা হাজতের টয়লেটে মাহফুজুর রহমান নামে এক রিমান্ডের আসামি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মাহফুজুর রহমান হচ্ছেন নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার আবু বক্করের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ দুপুর ১টা দিকে। এর আগে মঙ্গলবার তাকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল নাচোল থানা পুলিশ। নাচোল থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির জাহিদপুর হাটবাকইল গ্রামের নাসিরুদ্দনের মেয়ে নাহিদা খাতুন (১৪) পেটের ব্যাথা নিয়ে গত ১৭ জুলাই বিকেলে জননী ক্লিনিকে ভর্তি হয়। পরে ১৮ জুলাই বিকেলে ওই রোগীর অবস্থা শোচনীয় পর্যায়ে পৌঁছিলে বেলা আড়াইটার দিকে ডাক্তার মাহফুজুর রহমান ওরফে ডা. মাসুদ রানা বাদল তাকে রামেক হাসপাতালে রেফারড করেন। কিন্তু রামেক হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বেই পথিমধ্যে নাহিদা খাতুনের মৃত্যু হয়। তাকে গ্রেফতারের পর তিনি যে ভুয়া ডাক্তার তা জানাজানি হয়। পুলিশ জানায়, মাহফুজ এইচএসসি পাশ হলেও তা গোপন রেখে নিজেকে ডা. মাসুদ রানা বাদল পরিচয় দিয়। ২০১৩ সালে এমবিবিএস পাসের সনদপত্রে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাস করেছে বলে দেখা যায়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রকৃত ডা. মাসুদ রানা বাদলের দাখিল করা এই সনদের প্রকৃত ডাক্তার সিরাজগঞ্জের সৈয়দ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত আছেন।
এ ব্যাপারে মৃত নাহিদা খাতুনের পিতা নাসিরুদ্দিন বাদি হয়ে মাহফুজুর রহমান ওরফে ডা. মাসুদ রানা বাদলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার মাহফুজুর রহমানকে দু’দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। এদিকে আজ বেলা একটার দিকে মাহফুজুর রহমান নাচোল থানা হাজতের টয়লেটে ঢুকে দীর্ঘ সময় পরও বের না হয়ে আসায় পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে বেলা আড়াইটার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম ঘটনাস্থলে পৌছে দেখেন মাহফুজুর রহমান টয়লেটে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার