বাগেরহাটের শরণখোলায় বলেশ্বর নদের অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের বেড়ি বাধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নদীতে বিলিন হয়েছে সাউথখালী ও রায়েন্দা ইউনিয়নের দুটি পয়েন্টের প্রায় ১০০ মিটার বাধ।
অপরদিকে, এক সপ্তাহ ধরে চলা অবিরাম বর্ষণে উপকূলীয় এ উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রায়েন্দা বাজারসহ উপজেলা ১০টি গ্রামের প্রায় ২০ মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
সাউথখালী ইউনিয়নের বগী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান, গত বুধবার দুপুরে বলেশ্বর নদের প্রবল জোয়ারে বগী এলাকায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মাণাধীন বেড়িবাধের প্রায় ৫০ মিটার ধসে পড়ে। বাধ ভাঙার খবরে আমন চাষী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।রায়েন্দা ইউনিয়নের ৯ নম্বর রাজেশ্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. কাওসার আকন জানান, তার এলাকায়ও প্রায় ৪৫ ফুট বাধের মাঝখান থেকে অর্ধেকটা ধসে পড়েছে। সম্পূর্ণ বিলিন হলে বলেশ্বরের পানিতে আমনে বীজতলা ও শত শত পুকুর, ঘরবাড়ি তলিয়ে যাবে। ধসে পড়া বাধ দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন ওই জনপ্রতিনিধিরা।
বেড়িবাধ নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি শ্যামল কুমার দত্ত জানান, বাধ ধসের খবর পেয়েই তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। জরুরী ভিত্তিতে ভেঙে যাওয়া বাধ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এদিকে, রায়েন্দা বাজারের স্লুইজগেট, খাদ্য গুদাম, পোষ্ট অফিস, টিএ্যান্ডটি অফিস, পূর্বমাথা ও ফকির বাড়ি, জিলবুনিয়া, রাজেশ্বর, চাল-রায়েন্দা, উত্তর সাউথখালী, দক্ষিণ সাউথখালী, বগী, চালিতাবুনিয়া ও দক্ষিণ রাজাপুর মাঝের চর গ্রামের পাঁচ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। এলাকায় বৃষ্টির পানি আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক পরিবার রান্নাবান্নাও করতে পারছেনা। জলাবদ্ধতার জন্য অপরিকল্পিত বালু ভরাট ও প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলকে দায়ী করছেন ভুক্তোভোগীরা।
বিডিপ্রতিদিন/ ২৭ জুলাই, ২০১৭/ ই জাহান