২৮ জুলাই, ২০১৭ ১৪:৫৮
বিএনপিকে কাদের

'আন্দোলনে ব্যর্থ দল সরকার গঠন করতে পারে না'

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

'আন্দোলনে ব্যর্থ দল সরকার গঠন করতে পারে না'

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন কান্নাকাটি আর নালিশে ব্যস্ত। বিরোধী দলে থেকে যারা আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়, তারা সরকার গঠন করতে পারে না। 

ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার সকালে পটুয়াখালীর লেবুখালী পায়রা নদীতে নির্মাণাধীন পায়রা সেতু কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি একই এলাকায় নির্মাণাধীন শেখ হাসিনা সেনানিবাস পরিদর্শন করেন।

বিরোধী দলের সহায়ক সরকারের প্রস্তাব নিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনে সহায়ক সরকার' বলতে সংবিধানে কিছু নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে। আমারও চাই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। আর নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের রায় নিয়ে আবারও সরকার গঠন করবে।

সেতু মন্ত্রী নদীর দক্ষিণ পাড়ে লেবুখালী ফেরীঘাট এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় চীফ হুইফ আ স ম ফিরোজ, বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, দলের কেন্দ্রীয় নেতা আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোশারফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীরসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ব্রিজ সংশ্লিষ্ট চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরীঘাটে পায়রা নদীতে পায়রা সেতু  (লেবুখালী সেতু)’র ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ২০১৩ সালের ১৯ মে। ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই সেতুর কাজ শুরু হয়। ১৪শ’ ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে মূল সেতুর পরিধি নদীর মধ্যে ৬৩০ মিটার। বাকী ৮৪০ মিটার সংযোগ সড়ক সেতু। সেতুর প্রস্থ ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি কুয়েত ফান্ডের ১০০ মিলিয়ন ডলারের সাথে ওফিডের ৩০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। বাংলাদেশি টাকায় প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২২ কোটি টাকা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নে পায়রা সেতুর প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে চীনের লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কোম্পানী লিমিটেড। কনস্যালটেন্সি ফার্ম হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ, কুয়েত, ভারত ও কোরিয়ার ৪টি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা। 

সেতু প্রকল্পের আবাসিক প্রকৌশলী মনজিত কুমার সাহা জানান, পায়রা সমুদ্র বন্দরকে মাথায় রেখেই এই সেতু ফোর লেন করা হচ্ছে। মূল সেতুতে স্প্যান থাকছে ৪টি।  মাঝ নদী বরাবর দুটি ২শ মিটার ও পাশের দুটি ১শ’১৫ মিটার করে। এছাড়া পটুয়াখালী প্রান্তে ১৬টি ও বরিশাল প্রান্তে ১২টি স্প্যান থাকছে ৩০ মিটার করে। মাঝে লেন ছাড়াও থাকছে ১ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুটপথ। পায়রা সেতু চালু হলে সেটি হবে কুয়াকাটাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগে এক মাইলফলক।

 

বিডি প্রতিদিন/২৮ জুলাই, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর