গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আসলাম হোসেন ওরফে মোহনের বাড়ি নওগাঁর মান্দায়। নিখোঁজের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই তার। এদিকে শুক্রবার ভোরে নাটোরের সিংড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আসলাম হোসেন ওরফে মোহনকে।
তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সে জেএমবিতে যোগদানের পর থেকে আবু জাররা রাশেদ নামে আত্মগোপনে যায়। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আসলাম ওরফে মোহন (২৪) তার নিজ বাড়ির এলাকার তেঁতুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়ার করার পর তার নানার বাড়ি রাজশাহী জেলার নওহাটাতে চলে যায়। এরপর সেখান থেকে সে এসএসসি পাস করে এবং পরে রাজশাহী মডেল কলেজ ভর্তি হয়। সেখানে কিছুদিন লেখাপড়া করার পর সে নিখোঁজ হয়ে যায়।
মোহনের দাদি সালেহা বিবি জানায়, মোহন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো। সব সময় আমাদেরকে ইসলাম ধর্মের কথা বলতো। ২০১৬ সালের নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বর মাসের দিকে র্যাবের কয়েকজন সদস্য তাদের বাড়িতে এসে বলে ক্রয়ফায়ারে মোহন মারা গেছে। তার লাশ দেখার জন্য মোহনের মা নাছিমা বেগমকে সাথে করে নিয়ে যায়। নাছিমা লাশ দেখে বলে তার ছেলে নয়। এমনকি ডিএনএ টেস্ট করেও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি।মোহনের চাচা আবুল কালাম আজাদ জানান, তিন বছর আগে তার চাচাতো বোন মারা গেলে সে মাটি দিতে এসেছিল। এরপর তার সাথে আমাদের আর কোন যোগাযোগ নাই। তিনি আরো জানান, পাঁচ-ছয় বছর আগে আব্দুস সালাম তার পরিবার নিয়ে নওগাঁ থেকে রাজশাহীর নওহাটা মথুরা নওদাপাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে অর্থাৎ তারা মোহনের নানার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। আজ পর্যন্ত তারা সেখানেই রয়েছে। মোহনের বাবা আব্দুস সালাম কয়েকটি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেও পলাতক রয়েছে বলে আমি জানি।
এ বিষয়ে মান্দা থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান, আমি এ রকম সংবাদ পেয়ে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য মোহনের কাঞ্চনপুর গ্রামে লোক পাঠিয়েছিলাম। তবে আবু জাররা রাশেদ নামে এলাকার কেউ তাকে চিনে না। তার প্রকৃত নাম আসলাম ওরফে মোহন বলে জানা গেছে। আর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/২৮ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল