১৬ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৫৪

শোক দিবসের ব্যানারে নাম নাই, টাকা ফেরত নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

শোক দিবসের ব্যানারে নাম নাই, টাকা ফেরত নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা

ঝালকাঠির বিনয়কাঠি ইউনিয়নে শোক দিবসের আলোচনা সভার ব্যনারে প্রধান অতিথির নাম না থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান অনুষ্ঠান করার জন্য টাকা দিয়ে তা ফেরত নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্য থেকে চাঁদা তুলে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। এতে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। 

অভিযোগে জানা গেছে, সদর উপজেলার বিনয়কাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভা করার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান। কিন্তু আলোচনা সভার ব্যানারে প্রধান অতিথির নাম না লেখায় অনুষ্ঠানের পূর্বের রাতে ওই নব্য নেতা তার লোক দিয়ে টাকা ফেরত নিয়ে যান।  

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জানান, ইতোপূর্বে ইউনিয়নে শোক দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিমূলক সভায় সিগ্ধান্ত হয় যে, ব্যানারে কেবল মাত্র সভাপতির নাম লেখা থাকবে। কোন অতিথিদের নাম লেখা থাকবে না। উপস্থিত অতিথিদের মধ্য থেকে সিনিয়ারিটির ভিত্তিতে প্রধান অতিথি করা হবে। সেই অনুযায়ী ব্যানারে কেবল মাত্র সভাপতির নাম দেয়া হয়েছে। আর এ কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান ক্ষুব্ধ হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লিটন সরদারের কাছ থেকে তার দেয়া টাকা পলাশ নামের এক লোককে দিয়ে ফেরত নেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা-কর্মী জানিয়েছেন, খান আরিফুর রহমানকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি করার পর থেকে তিনি বিনয়কাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে গ্রুপিং তৈরি করে সংগঠনকে দুর্বল করতে চাচ্ছেন। তার কথা না শুনলে বিভিন্ন রকমের হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে নেতা-কর্মীদের। আরো অভিযোগ বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগের এসে দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তারা অবিলম্বে এর সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছে।

এব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমি কোন টাকা দেইনি, নেইও নি। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ ছারা আমি কিছু করি না। তিনি আরো বলেন, ‘আমি গত সোমবার সকালে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ঢাকায় এসেছি। তাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় আমার কোন লোক যায়নি। যে কারণে উপস্থিতি কম হয়েছে। শোক দিবস উপলক্ষে আমি বিনয়কাঠি ইউনিয়নের ২৬ মসজিদে বাদ আসর ও মাগরিব বাদ মিলাদের আয়েজন করেছি। 

 

বিডি প্রতিদিন/১৬ আগস্ট ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর