১৭ আগস্ট, ২০১৭ ১৮:০২

মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

মুন্সীগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের ৩টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শ্রীনগর, লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার কয়েক হাজার পরিবার। পদ্মা তীরের বাড়িঘর জলমগ্ন ছাড়াও বহু ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। চর এলাকায় বানভাসি মানুষ দুর্ভোগে আছেন বেশী।
পদ্মার পানি বৃহস্পতিবার সকালে ভাগ্যকূল পয়েন্টে বিপদসীমার ৬দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধিঅব্যাহত থাকায়  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে  টঙ্গীবাড়ি হাসাইল, বানারী, পাচনখোলা, নগর যোয়ার, পাঁচগাঁও, কামারখাড়া, লৌহজং উপজেলার কনকশার, যসলদিয়া, মাওয়া শ্রীনগর উপজেলার কবুতর খোলা সহ ৬.দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার বিপদ সীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৬ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিন দুপুর ১টা পর্যন্ত  আরও কয়েকটি  গ্রমের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব তথ্য দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মোঃ জয়নাল বলেন, লৌহজংয়ের মাওয়া ও শ্রীনগর ভাগ্যকুল এলাকায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে। অনেক  জলমগ্নতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে বন্যার তুলনায় পুরোপুরি সমস্যা দেখা যায়নি।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন  বলেন, প্রশাসন জলমগ্ন এলাকার মানুষের পাশে রয়েছে। সরকারিভাবে সবরকম প্রস্তুতি  রয়েছে। লৌহজং উপজেলায় মোট ১১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তিনি আরো বলেন সার্বিক পরিস্তিতির উপর বিবেচনা করে সরকারের কাছে, ত্রান সামাগ্রীর চাহিদা জানানো হয়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের সু-চিকিৎসা দেয়ার জন্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিম গঠন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডা. দিয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে এলাকার বানভাসি মানুষ দুর্ভোগে কেউ চিতিৎসা সেবা থেকে অবহেলিত না হয়।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর