১৭ আগস্ট, ২০১৭ ১৮:২৯
তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ

ঝালকাঠিতে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠিতে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন

মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের মাঠে পঙ্গু হওয়া একজন মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) ঝালকাঠি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে সেদিন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার এক পা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। আজ আমার প্রতিপক্ষরা আমাকে জন্মগতভাবে পঙ্গু বলে নানা জায়গায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করছে। এরা আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি ষরযন্ত্রকারীরা আমাকে হত্যা করতে চায়’।
 
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবৎ আমি ঝালকাঠি সদর উপজেলার ০১নং গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা। একটি কুচক্রী মহল আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চালিয়ে আসছে। কুচক্রী মহলটি আমার পৈত্রিক সম্পত্তির কিছু অংশ জবরদখল করে ভোগ করছে। চক্রটি আমাকে গত ২০০৪ সনে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরা ২০১৪ সালে পুনরায় আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে বাম হাত ভেঙে ফেলে। আমার সন্তানাদি এদের কাছে নিরাপদ নয়। যেকোন সময় আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যা করতে পারে।
 
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রবের অভিযোগ মতে, ২০১৪ সালে সদর উপজেলার বালিঘোনা গ্রামের আলতাফ উদ্দিনের ছেলে ওবায়েদুল হক মানিক, কবির উদ্দিন হাওলাদার ছেলে খোকন ও রিপন, মালেক হাওলাদারের ছেলে সবুজ হাওলাদারসহ আরও ৪/৫ জন নিয়ে আমাকে মেরে আমার বাম হাত ভেঙ্গে দেয়। আমাকে খুন করতে না পেরে আমার বসত ঘর দাও, রামদা দিয়া কুপিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। সংবাদ সম্মেলনে তার নাম মুক্তিবার্তার লাল বহিতে ০৬০২০১০৭২৩ নং ক্রমিকে নাম লিপিবদ্ধ আছে এবং পরবর্তী ২০০৫ সনে ঝালকাঠি জেলায় ২৫১ নং ক্রমিকে তার নাম গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত সম্মানী ভাতা প্রথম পর্যায় হইতে ৩০০/- টাকা হারে ও পরবর্তীতে ৫০০/- টাকা পর্যায়ক্রমে ৬০০/- টাকা, ৯০০/- টাকা, ১৫০০/- টাকা, ৩০০০/- টাকা ও সর্বশেষ প্রতিমাসে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা করে সম্মানী ভাতা প্রাপ্ত হন। 

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওবায়দুল হক মানিক একটি মিথ্যা অভিযোগ তুলে সম্মানী ভাতা বন্ধের পাঁয়তারা করছে। ২০১৪ সালের ১০ অগষ্ট বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।

তৎকালীন ওবায়দুল হকের আবেদনের তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ভূয়া ভিত্তিহীন বলে ওবায়দুল হক মানিক এর আবেদনখানা অকার্যকর বলে মন্ত্রণালয়ে এক রিপোর্ট পেশ করেন এবং আমি সঠিক মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তাদের তদন্তে বিবেচিত হই। পরবর্তীতে আবারও মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটিতে হুবহু দরখাস্ত ফটোকপি করে দাখিল করা হলে যাচাই বাছাই কর্তৃপক্ষ আমাকে কোন নোটিশ না দিয়া আমার সম্মানী ভাতা এপ্রিল/১৭ থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত আটক রাখেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, স্থানীয় জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

 


বিডি প্রতিদিন / ১৭ আগস্ট, ২০১৭ / তাফসীর‌

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর