১৭ আগস্ট, ২০১৭ ২১:১০

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

শেরপুর প্রতিনিধি :

শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বন্ধ সড়ক যোগাযোগ

শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুর-জামালপুর সংযোগ সড়কে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে সওজ।

সদর উপজেলার চর পক্ষীমারি ইউনিয়নের পোড়ার দোকান নামক স্থানের ডাইভারশানে জামালপুর হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং উত্তরবঙ্গ প্রবেশের এ সড়কটিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষনা করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওই রুটে চলাচল কারী যাত্রীরা। এসব যাত্রীরা ঝুকি নিয়ে পানির প্রবল স্রোতে নৌকায় চলাচল করছে। নৌকা দিয়ে পারাপার হচ্ছে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরত্বের জামালপুর জেলা শহরে। এরপর অন্য গন্তব্যে চলাচল করছে জেলার যাত্রী সাধারণ।
 
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ার কারণে নদের বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে সদর উপজেলার চর পক্ষীমারি, কামারের চর, চরমোচারিয়া, রৌহা, বেতমারী ও ঘুঘরাকান্দী ইউনিয়নের অনন্ত ৩০টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এসব এলাকার চলতি রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাচ্ছে। এসব গ্রামের শতশত মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে তারা নৌকার উপর ভরসা করে এ বাড়ি ও বাড়ি চলাচল করছে। জরুরী কাজে শহরে আসতে হলেও ওই নৌকার উপর ভরসা করতে হচ্ছে বানভাসিদের। বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরাও স্কুল ও কলেজে যেতে পারছে না বলে জানায় বন্যা দুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীরা। 

এছাড়া কৃষকরা জানায়, তাদের ফসল ও সব্জী ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্তের পাশাপাশি দুচিন্তায় আছে গবাদি পশু নিয়ে। বন্যা দূর্গত এলাকার হাজার হাজার গবাদি পশু’র আশ্রয়ের পাশপাশি তাদের খাদ্যেরও সংকট তৈরী হয়েছে। 

বানভাসিদের অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আত্মিয়র বাড়ি, কেউবা বাঁধের উপর এবং স্থানীয় উচু কোন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এসব স্থানে এখনও কোন ত্রাণ পৌছায়নি বলে অভিযোগ করেন বানভাসিরা। তবে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, সদর উপজেলার ইউএনও মো. হাবিবুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জন প্রতিনিধিরা বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছে। 

এদিকে গেল রাতে  সদর উপজেলার কামারের চর ইউনিয়নের কামারেরচর বাজার সংলগ্ন শুক্রামাদি বিলে বন্যার পানির পাকে পড়ে হানিফ উদ্দিন (১৫) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। হানিফ জামালপুর সদরের সাহাবাজপুর ইউনিয়নের গনেশপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে। সে সাহাব্দির চর মধ্যপাড়া মাদ্রাসায় থেকে কোরানের হেফজ পড়তো।
 
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানায়, বন্যা দুর্গতদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। বর্তমানে ৭ মেট্রিক টন চাল মওজুদসহ পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা রয়েছে। যে কোন সময় এসব ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হবে।

বিডিপ্রতিদিন/ ১৭ আগস্ট, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর