কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখনো তলিয়ে আছে চরাঞ্চলের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি।
জেলার ৯ উপজেলার ৮২০ গ্রামের ৪ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দী জীবনযাপন করছে। তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদি পশুসহ পাকা সড়ক, উঁচু বাঁধ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট। এদিকে, ত্রাণের নৌকা দেখে বানভাসিরা ছুটে গেলেও বেশির ভাগের ভাগ্যেই ত্রাণ জুটছে না। জেলা প্রশাসক থেকে এ পর্যন্ত ৩০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, ৯৫১ মেট্রিক টন চাল এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা ৪ লক্ষাধিক বানভাসির জন্য অপ্রতুল।
আগামী রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন।বিডি-প্রতিদিন/১৮ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ