শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নড়িয়া-জাজিরার প্রায় ৩ কি.মি. সড়কের উপর দিয়ে পানি বইছে। বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে জেলার ছোট নদীগুলোর শাখা দিয়ে। পাশাপাশি, অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙন।
এদিকে বন্যা দুর্গতদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নগদ ৫ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা, ২শ মেট্রিক টন চাউল মজুদ রেখেছে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। ইতিমধ্যে সাড়ে ১১শ' পরিবারকে সরকারিভাবে তালিকা করে ত্রান সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়েছে। এছাড়া ভাঙ্গন কবলিত ৭৪ জনকে ১ হাজার টাকা করে বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
এরই মধ্যে পদ্মার পাড়ের আশপাশের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে পানি ঢুকে পড়েছে। পদ্মার পানিতে তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। সুরেশ্বর পয়েন্টে সকালে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকায় বন্যার পানি ঢুকতে শরু করেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। কেউ কেউ কলাগাছের ভেলা দিয়ে যাতায়েত ও রান্নার কাজ করছে।তবে নতুন নতুন এলাকায় পানি উঠে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পদ্মা তীরবর্তী গ্রামের মানুষ। দুর্গত এলাকায় গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দিয়েছে। জেলায় ১শ ৫৮টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমান মেডিক্যাল টিম চালু করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৮ আগস্ট, ২০১৭/ওয়াসিফ