টাঙ্গাইলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি আজ শুক্রবার আট সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের সাতটি উপজেলার ভূঞাপুর, গোপালপুর, কালিহাতী, বাসাইল, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও দেলদুয়ারের নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব অঞ্চলে বন্যার পানিতে বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই ঘরের মধ্যে উঁচু বাঁশের মাচা পেতে পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার-পরিজন ও গবাদিপশু নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি, অন্যের উঁচু জমি ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। সাতটি উপজেলায় অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গোপালপুর উপজেলার গুলিপেঁচা ও ভূঞাপুর উপজেলার চুকাইনগর, অর্জুনা ও কুঠিবয়ড়া ইউনিয়নের সবগুলো গ্রামই পানি নিচে।টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানিছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সাহায্য সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই টাঙ্গাইল সদর ও ভুঞাপুর অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পাঁচটন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ এক লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ আগস্ট, ২০১৭/ফারজানা