নরসিংদীর ইটাখোলা এলাকা থেকে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ত্রিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় মরনঘাতি নেশা ইয়াবা পাচারে ব্যবহৃত একটি পিকাপ ভ্যান জব্ধ করা হয়। বৃহস্প্রতিবার গভির রাতে ঢাকা-সিটেল মহাসড়কের ইটাখোলা এলাকা থেকে মালামালসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মাদক আইন ৯ এর খ/ ২৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃত গফুর মিয়া কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লেজির পাড়া গ্রামের সোনালী মিয়ার ছেলে।
ডিবি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,নরসিংদীতে মাদকের একটি বড় চালান আসছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক ( এস আই ) আব্দুল গাফারের নেতৃত্বে ডিবির একটি দল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নজরদারি বাড়ানো হয়। এরই মধ্যে রাত ১১টার দিকে ভৈরর থেকে আসা রেজিস্টেশন বিহিন একটি পিকাপ ভ্যানকে থামানোর সিগনাল দেয়। ওই সময় গাড়ীটি পুলিশের নির্দেশ উপেক্ষা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে ডিবি পুলিশ গাড়িটির পিছু নিয়ে গাড়ীটিকে সামনে থেকে ব্যারিকেট সৃষ্টি করে আটক করে।অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া এস আই আব্দুল গাফফার বলেন, গাড়ি ও ইয়াবার মূল মালিক টেকনাফের এনাম মেম্বার। মাদকের চালানটি ডেলিবারী দেয়ার জন্য যাচ্ছিল। সেই পিকআপটিতে তল্লাশী চালিয়ে চালকের সামনে থাকা সিডি ড্রাইভ বক্সের ভেতর থেকে ১৫টি প্যাকেট জব্ধ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ২ হাজার করে মোট ৩০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, অপরাধীদের ছাড় দেয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই জীবন বাজি রেখে প্রতিটা অপরাধের মূল উৎপাটনের চেষ্টা করি। শুধু মাদকই নয়, এর আগে পুলিশের লুট হওয়া পিস্তল উদ্ধার, সেনাবাহিনির ভূয়া মেজর গ্রেফতার, মহাসড়কে ডাকাতি রোধসহ ডার্ক কেইসগুলোর রহস্য উন্মচোন করা হয়েছে। সম্প্রতি মাদক ব্যবসার ট্রানজিট হিসেবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে বেছে নিয়েছে মাদক ব্যাবসায়ীরা। তাই সড়কে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাইদুর রহমান বলেন, এটা নরসিংদীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাদকের চালান জব্ধ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় কোটি টাকা। এতে করে একে একে সকল মাদক ব্যাবসায়ীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৮ আগস্ট ২০১৭/হিমেল