আরো দশটা শিশুর মত সুস্থ জীবনের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের শিশু নাফিজ শেখ ও তার পরিবার। ছেলেকে বাঁচানোই এখন তাদের একমাত্র আশা। টিউমার নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুটির চিকিৎসার ব্যায়ভার দারিদ্রতায় জরজড়িত দিন মজুর মারুফ শেখের পক্ষে বহন করা আজ অবাস্তব হয়ে পড়েছে।
২০০৬ সালের ১ নভেম্বর ভোর রাতে জন্ম নেয়া ফুটফুটে শিশুটি আজ প্রতাপপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই নাফিজ ছিলো মেধাবী। কিন্তু শরীরে বহন করা টিউমারটি তার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় দিনে দিনে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে যন্ত্রণা ও রক্তপড়া। যার কারণে নাফিজ নিয়মিত স্কুলেও যেতে পারছে না।
শিশুটির বাবা মারুফ শেখ বলেন, আমার ছেলেটি মেধাবী ছাত্র, ওর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তাই সরকার ও বিত্তবানরা যদি আমার ছেলের চিকিৎসায় সহযোগীতা করতেন তাহলে আমার ছেলেটিকে বাঁচাতে পারতাম।কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ পার্থ বিশ্বাস বলেন, শিশুটিকে আমি দেখেছি তবে তার শরীরে থাকা টিউমারটি আসলে কোন পর্যায় তা পরীক্ষা-নিরিক্ষা না করে বলা যাচ্ছেনা। তবে শিশুটির চিকিৎসা ব্যায় বহন করা ওই পরিবারের সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান বলেন, শিশুটি অসুস্থতার বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম, আমি আশাকরি এ শিশুটির চিকিৎসার জন্য সকলেই এগিয়ে আসবেন।
বিডি প্রতিদিন/১৮ আগস্ট ২০১৭/হিমেল