নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জে বিচার-শালিশকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য’র নেতৃত্বে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হামলাকারীরা দোকানপাট, বেশ কয়েকটি লেগুনা ও অটোরিকশা ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে বলে জানা যায়।
শুক্রবার রাতে উপজেলার আধুরিয়া এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। এই হামলায় অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত এক মাসে আগে উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আরিফ মিয়ার সঙ্গে পার্শবতী কুমারটেক এলাকার রঞ্জু মিয়ার বাটিক কাপড় শুকানো নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে কুমারটেক এলাকায় বিচার শালিস হয়। ওই বিচার-শালিসকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার লোকজনের সঙ্গে আধুরিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আমির আলীর তর্কবিতর্ক হয়। পরে রাত ১০টার দিকে বাচ্চুসহ তার লোকজন রামদা, চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আধুরিয়া গ্রামের লোকজনের উপর হামলা চালায়। এ সময় কাউসার, এমদাদুল ও ওয়াজুল হকের দোকানপাট ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করে হামলাকারীরা। এছাড়া বেশ কয়েকটি লেগুনা ও অটোরিকশা ভাংচুর করা হয়।পরে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। হামলায় আধুরিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আমির আলী, মাসুম, মহসিন, জাকির, মিনজুসহ ছয় জন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেন।
এ রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন / ১৯ আগস্ট, ২০১৭ / তাফসীর