১৯ আগস্ট, ২০১৭ ১৫:৫৪

‘মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় দুর্নীতির আখড়া’

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

‘মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় দুর্নীতির আখড়া’

‘মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় দুর্নীতির আখড়া। সেখানে টাকা দিলে সব হয়। টাকায় মেলে মুক্তিযোদ্ধা সনদ। ৪-৫ লাখ টাকায় রাজাকার হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। এভাবে চলতে পারে না।’আজ দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত অমুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারদের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রহিম। 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের মৃত সামত আলীর ছেলে আবুল কাশেম ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের পরে বর্তমান খান বাহাদুর আহছান উল্লা (র) কলেজের পিছনে বাগেরহাট, বরিশাল, খুলনা অঞ্চল থেকে ভারতগামী শরণার্থীদের সম্পদ লুণ্ঠনে জড়িত ছিলেন। পরে তিনি সখিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও দেবহাটা-কালিগঞ্জের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান প্রখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা আব্দুল করিম ওরফে করিম মিয়ার হাত ধরে রাজাকার বাহিনীতে নাম লেখান। মুক্তিযুদ্ধে দেবহাটা এলাকা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর আবুল কাশেম আত্মগোপনে চলে যায়। মুক্তিযুদ্ধের বেশ কিছুদিন পর আবুল কাশেম এলাকায় ফিরে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে পরিচয় দিতে থাকে এবং বুলেট বিদ্ধ হয়ে যুদ্ধাহত বলে ভারতীয় ডাক্তারদের একটি জাল সার্টিফিকেট দেখায়। পরে আবুল কাশেম নানা কৌশলে সকলকে ম্যানেজ করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ লাভ করে। 

সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেমের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল ও তার শাস্তির দাবি এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম বাতিলের দাবি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ডের প্রাক্তন কমান্ডার আলফাজ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী, মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা আব্দুল মোমেন প্রমুখ। 


বিডি প্রতিদিন/১৯ আগস্ট ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর