বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর হাটের সরকারি জায়গায় দোকানঘরের দখল নিয়ে শ্রমিকলীগ ও যুবলীগের নেতার মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে মথুরাপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে এ বছর মথুরাপুর হাট ইজারা বন্দোবস্ত নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আল-পহলাল। তিনি প্রায় ৬ মাস আগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের যোগসাজসে হাটের সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ৩৮টি দোকান ঘর নির্মাণ করেন। 

এদিকে, ওই দোকান ঘরের দখল নিয়ে মথুরাপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রবিবার সন্ধ্যায় অবৈধ দোকান ঘরের সামনে চুলা তৈরির ঘটনা নিয়ে শ্রমিকলীগ ও যুবলীগ নেতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার দখলে থাকা দোকানঘরে হোটেল ব্যবসা করার প্রস্তুতি হিসেবে চুলা তৈরি করছিলাম। এতে শ্রমিক লীগ নেতা বাধা সৃষ্টির এক পর্যায়ে আমার দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। 

শ্রমিকলীগ নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, দোকান ঘরের দখল নিয়ে আমিনুলের সাথে আমার পূর্ব থেকে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে আমার শ্যালক মজনু মিয়াকে রাস্তায় মারধর করে টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার দোকান ঘরের ভেতর কয়েকটি কাঁচ ভাঙচুর করেছি। 

বগুড়ার ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/২১ আগস্ট ২০১৭/আরাফাত