২১ আগস্ট, ২০১৭ ১৭:১৬

সিরাজগঞ্জে ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

সিরাজগঞ্জে ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

সিরাজগঞ্জে পানি কমতে শুরু করলেও এখনো অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি থাকায় দুর্ভোগ কমেনি। দেখা দিয়েছে খাদ্য-ওষুধ সংকট। সরকারিভাবে পরিবার প্রতি দশ কেজি করে চাল বিতরণ করা হলেও অনেক পরিবার তা পায়নি। আর যেসব পরিবার পেয়েছে তাদেরও শেষ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে বন্যাকবলিতরা। এছাড়া ত্রাণ বিতরণে চেয়ারম্যান-মেম্বরদের স্বজনপ্রীতির অভিযোগও ওঠেছে। এ জন্য সেনাবাহিনী অথবা প্রশাসনের মাধ্যমে বন্যাকবলিত ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সহায়তার দাবি জানিয়েছেন বন্যা কবলিতরা। 

বর্তমানে যমুনার পানি বিপদসীমার ৮০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় পলিথিন-কাঁথা-কাপড় বা টিন দিয়ে ওয়াপদা বাঁধ বা উচুস্থানে খুপড়ি তুলে বন্যা কবলিতরা মানবেতর ভাবে বসবাস করছে। অনেকে পানির মধ্যেই বাড়িতে অবস্থান করছে। টয়লেট-বিশুদ্ধ পানির সমস্যা ভুগছে এসব পরিবার। প্রায় আড়াই হাজার ফসলের জমি নষ্ট হওয়ায় কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়া-শোনা ব্যাহত হচ্ছে। 

ওয়াপদা বাঁধে খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের খলিশাকুড়া খিচুরী পাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, বাড়িতে একটু প্রায় গলা পানি। ৮ দিন ওয়াপদা রয়েছি। এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান-মেম্বররা সাহায্য সহযোগীতা করেনি। একই স্থানে আশ্রয় নেয়া আরও ৫০-৬০টি পরিবারের একই অবস্থা। তাদের অভিযোগ চেয়ারম্যান-মেম্বর মুখ চেনে চেনে তাদের পছন্দের লোকজনদের রিলিফ দেয়। আর গরীবেরা রিলিফ পায় না। এ অবস্থায় বঞ্চিতদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের চোখ-মুখে ফুটে ওঠে করুণ আকুতি। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, ৭১৬ মে.টন চাল ও ১৬ লাখ ৩৫ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তারপরেও যদি কেউ না পেয়ে থাকে, তবে সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ দিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। 

সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। তারপরেও চাহিদার শতভাগ পুরণ করতে না পারলেও বন্যা কবলিতদের পাশে থেকে যতটুকু সহায়তা করা সম্ভব, তা সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর