২১ আগস্ট, ২০১৭ ১৮:২১

বগুড়ার কোরবানীর পশু চাহিদা ২ লাখ, প্রস্তুত সাড়ে ৫ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া :

বগুড়ার কোরবানীর পশু চাহিদা ২ লাখ, প্রস্তুত সাড়ে ৫ লাখ

বগুড়ায় এবার দেশীয় জাতের গরু দিয়ে কোরবানীর চাহিদা মেটানো হবে। বগুড়ার ১২ উপজেলার বিভিন্ন খামারে লালন পালনকৃত প্রায় সোয়া ৫ লাখ গরু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলায় কোরবানীর চাহিদা রয়েছে প্রায় পৌনে তিন লাখ কোরবানীর পশু। বন্যার কারণে জেলার হাটগুলো এখনো জমে ওঠেনি। হাটগুলোতে কিছু কিছু কোরবানীর পশু উঠতে শুরু করেছে।
বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে বগুড়া জেলায় প্রায় ২ লাখ কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়াসহ কোরবানীযোগ্য প্রাণী জেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। এ পরিমান পশু দিয়ে স্থানীয়বাবে চাহিদা মেটিয়ে জেলার বাহিরের হাটে গরুর ব্যাপারী রা সরবরাহ করে। বগুড়ায় খামারে লালন পালন করা গরুর বড় অংশই চলে ঢাকায়। এবারো ঢাকার পাইকাররা খামারীদের সাথে যোগাযোগ করছে।
এ কারণে এবার খামারীরাও আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। জেলা পর্যায়ে বগুড়া শহরের কারবালা টিটিসি সংলগ্ন খামারী আনোয়ারুল হক স্বাধীন ব্রাহমাজাতের গরুর খামার গড়েছেন। তার খামারের গরু একেকটির ওজন আনুমানিক ১৭ থেকে ২০ মন করে। ব্রাহমাজাতের গরু খামারে লালন পালন করার পর ক্রেতারা খামারের কোরবানীযোগ্য গরু কিনতে অগ্রহী হয়ে উঠেছে। হাটে না তুললেও গরু গুলোর দাম হাঁকা হয়েছে আকারভেদে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে। তার খামারে এখন গরু রয়েছে ৫২টি। এছাড়া জেলার সারিয়াকান্দি, শেরপুর, নন্দীগ্রাম, বগুড়া সদর, কাহালু ও শিবগঞ্জ উপজেলার খামারীরা কোরবানীযোগ্য পশু নিয়ে হাটে বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলায় এখনো কোরবানীর হাট জমে না উঠলেও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন আগামী সপ্তাহ থেকে জেলায় পুরো দমে কোরবানীর হাট জমে উঠবে।
বগুড়া জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আ.ম. শফিউজ্জামান জানান, বগুড়ায় প্রতি বছর যে পরিমান কোরবানীর হয়ে থাকে তা স্থানীয়ভাবে দেশীয়জাতের পশু দিয়ে চাহিদা মেটানো হয়। বগুড়া জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় পৌনে তিনলাখ। জেলায় পশু প্রস্তুত হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ। জেলায় খামারী রয়েছে ১৮ হাজার ২৬১টি। গত কয়েক বছরে ভারতীয় গরু কম সরবরাহের কারণে জেলায় দেশীয়জাতের গরুর চাহিদা বেড়ে যায়।

বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর