২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৩ বছর পার হলেও নিহত-আহত অনেক পরিবারের খোঁজ রাখা হচ্ছে না। ওই পরিবারগুলো এখন মানবতের জীবন-যাপন করছে। তেমনই একজন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী গ্রামের সৈয়দ সুলতান হোসেনের ছেলে তৎকালীন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ জগলুল হোসেন সবুজ। বোমার আঘাতের বোঝা বয়ে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ ২০১০ সালের ১৬ আগষ্ট ঢাকা- মাওয়া মহাসড়কের মোল্লাহাট উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন।
সৈয়দ জগলুল হোসেনের বাবা ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগে যুক্ত হন। পরে তিনি ১৯৭০ সালে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে এবছর বার্ধক্যজনিত কারণে অবসরে আছেন। তবে তার বড় ভাই সৈয়দ ফেরদৌস হোসেন পান্না বর্তমানে ওই ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী পরিবার হিসাবে খ্যাত ওই পরিবারের খোঁজ এদিনেও কেউ নেয়নি।
২১ আগস্টে আহত সৈয়দ জগলুল হোসেন সবুজের মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া দুটি সন্তান সৈয়দা জারিন রোশনী (১০)ও সৈয়দ নাকিব ইকবালকে (৮) নিয়ে তার স্ত্রী ফিরোজা সুলতানা ছোট একটি বেসরকারি চাকরি নিয়ে জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্র জীবন থেকে ছাত্রলীগ করা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অনুগত এই সাহসি সন্তান আজ হারিয়ে গেছেন। তার পরিবারটি আজ যে কত যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছেন, তার খোঁজ কেউ নেয় না বলে আক্ষেপ করেন জগলুর স্ত্রী ফিরোজা সুলতানা। তিনি বলেন, আমার স্বামী আজ আমাদের কাছে নেই। কারো উপরে আমার কোন ক্ষোভও নেই। তবে আমরা যে কতটা অসহায় ভাবে আছি, তার খোঁজ কেউ রাখেনি।