জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, শুধু মানুষেরই নয়, গবাদিপশুর খাদ্যও পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, বন্যার মত এমন ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগেও গবাদিপশুর জীবন রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। শুধু তাই নয়, বন্যা পরবর্তীতে যাতে তাদের খাদ্যের কোন সংকট না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের মাধ্যমে সবার কাছে খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তার নির্দেশনা মোতাবেক এলাকার ক্ষদিগ্রস্ত খামারীদের মাঝে গো-খাদ্যসহ পশুর খাবার সরবরাহ করছি। স্বাধীনতার পর কোন সরকারেই এমন উদ্যোগ নিতে পারে নি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের আয়োজনে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস প্রাঙ্গনে দিনাজপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মাঝে নেপিয়ার ঘাসসহ গো-খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দিনাজপুরে বন্যা দুর্গত এলাকার গবাদিপশু পালনকারী খামারিদের মাঝে ২ মেট্রিক টন পশুখাদ্য ১শ জন ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের মধ্যে প্রদান করা হয়।রংপুর বিভাগের প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখছেন, প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক, দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আশিকা আকবর তৃষা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নীলফামারী জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. শাহিনুর আলম।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য এ পর্যন্ত ১০ মেট্রিক টন গো-খাদ্য মজুদ রয়েছে। যা মঙ্গলবার থেকে পর্যায়ক্রমে বিতরণ শুরু হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২২ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব