২৩ আগস্ট, ২০১৭ ১৯:০৬

'মুন্সীগঞ্জে পশুর হাটসহ কোথাও কোন প্রকার চাঁদাবাজি হতে দেব না'

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

'মুন্সীগঞ্জে পশুর হাটসহ কোথাও কোন প্রকার চাঁদাবাজি হতে দেব না'

মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জায়েদুল আলম পিপিএম বলেছেন, সামনে পবিত্র ঈদুল আয্হা। এই ঈদকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জে পশুর হাটসহ জেলার কোথাও কোন প্রকার চাঁদাবাজি হতে দেব না। এ বছর ১৫ আগষ্টকে উপলক্ষ্য করে কাউকে কোন চাঁদা তুলতে দেইনি ঠিক তেমনি পশুর হাটেও কোন প্রকার চাঁদাবাজি করতে দিব না। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, মুন্সীগঞ্জ জেলায় সকল পশুর হাট ইজারাদারগণও তাদের নির্দিষ্ট হাসিলের বেশি টাকা নিতে পারবেন না। এ ছাড়া পশুবাহি ট্রাকে তল্লাশির নামে চাঁদা আদায় বা ভোগান্তির সৃষ্টি করা চলবে না। সন্ত্রাসীরা ছাড়াও কোন পুলিশ বা কোন দলীয় ক্যাডার যদি এমন কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলার মধ্য দিয়ে চলমান ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক দুটিতে পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে। দেশে দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার মানুষ লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট ব্যবহার করেন। এ ঘাটে কোন প্রকার অন্যায়-অনিয়ম এবং বাড়তি ভাড়া আদায় বা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ সিবোট চলতে দেওয়া হবে না। রাতের বেলা কোন লঞ্চ, সিবোট চলবে না। 

ফেরিঘাটে শৃক্ষলা রক্ষার্থে পুলিশ সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী নদী বেষ্টিত জেলার সকল নৌপথে কোন প্রকার নৌডাকাতি হতে দেব না। এ সময় তিনি দাবি করেন- ইতিপূর্বে নৌ-ডাকাতের অন্যতম সর্দার নৌ-ডাকাত বাবলাকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। কৌশলে তার বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদেরকে তারই সঞ্চয়িতায় আটক করে আইনের কাঠগড়ায় দিয়েছি। তিনি আরও বলেন- জেলায় মা-বোনদের স্বচ্ছন্দে চলাচলের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে নতুন আঙ্গিকে মহিলা পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। ওই সমস্ত মহিলা পুলিশ সদস্যগণ ভিন্ন মাত্রার পোষাকে এই প্রথম দায়িত্ব পালন করবেন। পরে তিনি জেলার সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট অফিস আকস্মিক পরিদর্শন করেন। এবং উপস্থিত পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলেন এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ সদস্যসহ কোন দালাল চক্রকর্তৃক টাকা দাবিসহ কোনরূপ হয়রানির শিকার হলে ব্যানারে উল্লেখিত নাম্বারে অভিযোগ জানালে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ক্রাইম আসাদুজ্জামান ডিআ-১ মো. নজরুল ইসলাম, সদর থানার ওসি তদন্ত মো. মঞ্জুর হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর