১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৬:১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে খোলা বাজারে চালের কেজি ৩০

ঠাকুরগাও প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ে খোলা বাজারে চালের কেজি ৩০

ঠাকুরগাঁওয়ে সরকারের খোলা বাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রিতে তেমন সাড়া মিলছে না। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হলেও তাদের খুব বেশি আকৃষ্ট করতে পারেনি ওএমএস। আজ ঠাকুরগাঁওয়ের ২৪টি পয়েন্টে ওএমএস চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

এ বছর হাওরে বন্যা ও রোগে ধানের উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়। এ কারণে বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ, বিনা জামানতে চাল আমদানির সুযোগ, সরকারি উদ্যোগে চাল কেনাসহ নানা ধরনের সিদ্ধান্ত হয়। তবুও দাম কমেনি। বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। এতে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন ভোক্তারা।

জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছেন, প্রতিজন ডিলার ১ মেট্রিকটন চাল বিক্রি করতে পারবেন। যে পরিমাণ চাল গুদামে মজুদ আছে আগামী কয়েক মাস ভাল ভাবে ঠাকুরগাঁওয়ে ওএমএস কার্যক্রম চালু রাখা যাবে।

ওএমএস চাল বিক্রির বিষয়টি জনগণ না জানায় প্রথম দিনে তেমন ভীড় লক্ষ্য করা যায়নি। তবে আগামী দিনে ভীড় থাকবে। বিগত দিনে এই কর্মসূচিতে চালের মূল্য ছিল ১৫ টাকা। তবে এবার তা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওএমএস চালু করা হলেও খুচরা বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।

মঙ্গলবার পৌর চাল বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, জিরাশাইল ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৪-৫৫ টাকা, পারিজা ৪৮-৫০ টাকা, এলসি ৫০ টাকা। গত ১ সপ্তাহে ৫৯ কেজি ওজনের বস্তা প্রতি ২০০-২৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চালের দাম উর্ধ্বমূখী হওয়ায় অস্বস্থিতে সর্বস্তরের মানুষ।

ওএমএস চাল ক্রয় করার সময় কথা হয় শরিফুল ইসলামের সাথে। তিনি জানান, সাধারণ মানুষের পক্ষে ৬০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয় করা সম্ভব নয়। তাই সরকার খোলাবাজারে চাল বিক্রয় শুরু করেছে। কিন্তু এই চাল কিনতে হচ্ছে ৩০ টাকা দরে যেটা আমাদের মত সাধারণ মানুষের জন্য অসম্ভব প্রায়। সরকার যদি ২০/২৫ টাকা দরে চাল দিত তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।

ঠাকুরগাঁও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আশ্ররাফুজ্জামান বলেন, অধিক সংখ্যক মানুষের সুবিধার জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের ২৪ টি পয়েন্টে চাল বিক্রয় শুরু হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী খাদ্য বিভাগ বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং করছে। 

 

বিডি প্রতিদিন/১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর