শিরোনাম
২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৭:১১

ব্যস্ত সময় কাটছে গাজীপুরের প্রতিমাশিল্পীদের

আফজাল, টঙ্গী:

ব্যস্ত সময় কাটছে গাজীপুরের প্রতিমাশিল্পীদের

গাজীপুরে ব্যস্ত প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা । পূজার শঙ্খ বাজে দূরে, মা আসছেন বছর ঘুরে, শিউলী ফুলের আগমণে এই প্রত্যয়ে অনুষ্ঠিতব্য হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করেই এমন ব্যস্ততা। মহানগরীর প্রতিটি এলাকার পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির শেষ প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর দশমী পুজা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। এ উপলক্ষে নিরাপত্তা বলয়ে থাকবে প্রতিটি পুজামন্ডপ।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দ্রুত এগিয়ে চলছে প্রতিমা তৈরি ও পূজার আয়োজন। একমাস ধরেই চলছে এই প্রতিমা তৈরি। মাটির কাজ শেষ এখন শুধু রং করা বাকী। টঙ্গী বাজার এলাকায় শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির,আমতলী সার্বজনীন হরিজর ঐক্য পরিষদ, সিলমুন, মরকুন,জয়দেবপুর বাজর এলাকায় কৃপাময়ী কালী মন্দির, গুরুলিয়া এলাকায় ননীবালা স্মৃতি মন্দির, পূবাইল, মিরের বাজরসহ ৫৭টি ওয়ার্ডে ৮৮টিপূজামন্ডপ ও পুরো গাজীপুর জেলায় এবার ৩০১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে ২০১৭সালের শারদীয় দুর্গোৎসব। পঞ্চমীতে খুশির আমেজ, ষষ্ঠীতে বোধন, সপ্তমীতে নাচানাচি, অষ্টমীতে ভোজন, নবমীতে ঘুরে ফিরে ক্ষ্যাপিয়ে লোকজন, দশমীতে বিদায় সুরে কাঁদবে সবার মন। 

এবিষয়ে প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা বলেন, একটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরি করতে ৪০ হাজার থেকে ১লাখ টাকা নেই। টঙ্গী বাজার শ্রীশ্রী দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি রনজিৎ কুমরা দাস বলেন, ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের কার্যক্রম। আশা করি গতবারের ন্যায় এবারও সুষ্ঠভাবে ৫দিন ব্যাপী দুর্গোৎসব পালিত হবে। টঙ্গী এলউসাইন কারখানা পরিচালক শ্যমল রায় বলেন, আমাদের ধর্মে এটাই সবচেয়য়ে বড় উৎসব। পূজার ছুটিতে পূজার্চনার প্রতিটি অনুষ্ঠানমালায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে অংশ গ্রহণ করার মজাই আলাদা। 
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের গাজীপর মহানগর শাখার সভাপতি মানিক চন্দ্র দে বলেন,উৎসব মুখোর পরিবেশে প্রতিমা তৈরি ও বিভিন্ন প্রস্তুতির আশি ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৬তারিখের পূর্বেই আমাদের সকল কাজ শেষ হবে। সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী জোনের সভাপতি ৪৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন বলেন,আমার ওয়ার্ডে ৪টি পুজামন্ডপসহ নগরীর প্রতিটি এলাকায় দুর্গোৎসব পালন কালে এলাকাবাসী ও আমাদের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। 

আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজামন্ডপ নিরাপত্তা বলয়ে রাখতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। 

গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান বলেন, প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি অনুদান দেয়া হবে। তবে কত টাকা দেয়া হবে সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। 
গাজীপুর-২আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, গতবারের ন্যায় এবারও সুষ্ঠভাবে দুর্গোৎসব পালিত হয় সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর