শিরোনাম
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২১:৩৪

বাগমারায় নেতা পেটানো উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

বাগমারায় নেতা পেটানো উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে মামলা
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও গ্রাম্য চিকিৎসককে পেটানোর অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। 
 
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে আবদুর রশিদ বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
 
মামলার এজাহারের বরাদ দিয়ে ওসি নাছিম আহমেদ জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ি বাগমারার খালিশপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি খালিশপুর বাজারে অনুসারীদের নিয়ে বসেছিলেন। এ সময় তার কয়েকজন অনুসারী বড়বিহানলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুর রশিদকে খালিশপুর বাজারের তার ওষুধের দোকান থেকে জোরপুর্বক চেয়ারম্যানের কাছে ধরে নিয়ে যায়। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাগ্নে শিশিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবদুর রশিদকে মারধর করেন চেয়ারম্যান সান্টু। এরপর চেয়ারম্যানের অনুসারীরাও তাকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। 
 
এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীরা খালিশপুর বাজারের বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেন। এরপর স্থানীয়রা ওই বৃদ্ধাশ্রম ভবনও ঘেরাও করে রাখেন। পরে গ্রামবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের শাস্তির দাবি জানান। খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের উদ্ধার করে। 
 
তবে এর আগে স্থানীয়রা আহত আবদুর রশিদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
 
এদিকে, আওয়ামী লীগ নেতা ও গ্রাম্য চিকিৎসক আবদুল রশিদকে মারপিট করার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে বড়বিহানলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়। এতে এলাকার প্রায় দেড় হাজার নারী-পুরুষ অংশ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সান্টুসহ তার অনুসারীদের শাস্তির দাবি জানান।
 
উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু দাবি করেন, তিনি কাউকে মারপিট করেননি। আবদুর রশিদই তার লোকজনকে মারধর করেছেন। 
 
তিনি আরও বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাই দলের একটা অংশ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এর অংশ হিসেবেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
 
বিডি প্রতিদিন/২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম

সর্বশেষ খবর