২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ২২:৩২

বাবুগঞ্জে হাঁটু পানি মারিয়ে লঞ্চে উঠতে হয় যাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

বাবুগঞ্জে হাঁটু পানি মারিয়ে লঞ্চে উঠতে হয় যাত্রীদের

বরিশালের বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ লঞ্চঘাটে হাটু পানি পেড়িয়ে লঞ্চে উঠতে হয় যাত্রীদের। বিশেষ করে হাটু সমান পানি পেড়িয়ে বয়স্ক এবং অসুস্থ যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে গিয়ে চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে। এ কারণে বয়স্ক ও অসুস্থ যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হয় অন্যের কোলে কিবা কাঁধে চেপে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও বিআইডব্লিউটিএ কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী যাত্রীদের। 

বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ লঞ্চঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র পন্টুনের সিঁড়ি বেশিরভাগ সময় জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। আর ঢাকাগামী লঞ্চ ওই পন্টুনে ঘাট দিলেও যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হয় হাটু সমান পানি মারিয়ে। টার্মিনাল টিকিট কেটেও দুর্ভোগ সহ্য করে ঢাকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে ওই উপজেলাবাসীদের। 

একাধিক যাত্রী জানান, এই দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। কিন্তু কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এ কারণে ঢাকায় লঞ্চে যাতায়াত করতে বাড়ি থেকে ভিন্ন কাপড় আনতে হয় যাত্রীদের। নদীর তীর থেকে পন্টুনে ওঠার আগে কাপড় পরিবর্তন করে লঞ্চে উঠে আবারও কাপড় পরিবর্তন করতে হচ্ছে নিয়মিত যাত্রীদের। তবে সবচেয়ে বেশী সমস্যা পড়তে হয় মহিলা, বৃদ্ধ এবং শিশুদের। মহিলারা কাপড় ভিজিয়ে লঞ্চে ওঠেন। এরপর লঞ্চে বসেই তাদের কাপড় শুকিয়ে যায়। বৃদ্ধদের ও শিশুদের লঞ্চে ওঠাতে হয় কোলে-পিঠে চেপে। পা পিছলে বৃদ্ধ যাত্রীসহ নদীতে পড়ে যাওয়ার মতোও ঘটনা ঘটেছে। কোন অসুস্থ গেলে তাদের স্বজনদের ভোগান্তির শেষ থাকে না। 

লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. সোহেল জানান, জোয়ারের পানিতে পন্টুনের সিড়ি ডুবে যাওয়ায় যাত্রী ভোগান্তি হয়। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। 

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে লঞ্চঘাটের পাশে রাস্তা করে দেয়ার কথা ছিলো। রাস্তা করে দিলে পন্টুনটি স্থাপন করা হলে সিড়ি আর পানিতে ডুববে না। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর