২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১১:০১

লক্ষ্মীপুরে মন্দিরে মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব প্রস্তুতি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে মন্দিরে মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব প্রস্তুতি

সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব ঘিরে লক্ষ্মীপুরে জমকালো আয়োজনে মন্দিরে মন্দিরে চলছে পূজার প্রস্তুতি। জেলাব্যাপী ৭৬টি পূজা মণ্ডপ প্রায় প্রস্তুত। এসব মন্দির ও প্রতিমা গুলোকে বর্ণিল সাজে সাজানোর কাজ চলছে এখন। এতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কারিগরসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। 

তবে, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুরসহ জঙ্গি ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শঙ্কার কথা জানান জেলা পুঁজা উদযাপন পরিষদ।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠিতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা। হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুসারে দেবী দুর্গা, দুর্গতি নাশিনী। অশুভ শক্তির বিনাশ করতেই তিনি আসেন ধরণীতে। তার আগমনের অপেক্ষায় হিন্দু সম্প্রদায়। 

এ বছর দেবী দূর্গা নৌকায় চড়ে পৃথিবীতে আসবেন এবং ঘোড়ায় চড়ে যাবেন। এ উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলায় ৭৬টি মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে নানা রঙে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মৃৎশিল্পীদের নিপুন তুলির আঁচড়ে মা দুর্গা সেজে উঠছেন ভক্তের পূজা পেতে। সর্বমেধা দিয়ে দিনরাত কাজ করছেন তারা।

স্থানীয় শাখাঁরী পাড়ার একটি পূজা মণ্ডপে কর্মরত অর্জুন পাল নামের এক কারিগর জানান, একেকটি মণ্ডপে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পান তারা। বছরে একজন কারিগর ৩ থেকে ৫টি মন্দিরে কাজ করতে পারেন আর তাতেই সংসার চলে তাদের। 

এদিকে মূল কারিগরদের সহযোগী হিসেবে বর্তমানে জেলায় দুই শতাধিক শ্রমিকও কাজ করছেন। এদের একেকজন শ্রমিক বছরের ৬মাস এ কাজে নিয়োজিত থাকেন। পারিশ্রমিক হিসেবে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করেন বলে জানান কর্মরত এক শ্রমিক।

এছাড়া, জাঁকজমকভাবে পূজা উদযাপন আর দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে মণ্ডপ আর পাড়ার রাস্তাগুলোতে আলোকসজ্জার কাজসহ আনুসাঙ্গিক কাজে ব্যাস্ত রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রেখে মুসলিম ও হিন্দু সবাই মিলে দুর্গোৎসবে মেতে উঠার প্রত্যাশায় রয়েছেন তারা।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু শঙ্কর মজুমদার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পূজাকে ঘিরে দফায় দফায় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেছেন। প্রশাসনের আশ্বাসের পরও বর্তমানে দেশের বিভিন্নস্থানে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা, দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

তবে জেলা পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উৎযাপনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে।  ৭৬টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ হিসেবে ভাগ করে পুলিশ সর্বস্তরের নিরাপত্তায় কাজ করছে বলে জানান পুলিশ সুপার।

বিডি-প্রতিদিন/২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর