২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৬:৪৪

ঝালকাঠিতে ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠিতে ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ঝালকাঠির রাজাপুরে নিখোঁজ স্বামীর ব্যপারে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করতে গিয়ে নানা হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগে রাজাপুর থানা পরিদর্শকের (ওসি) মুনির উল গিয়াসের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী। সোমবার সকালে শহরের সদর রোড এলাকার একটি সামাজিক সংগঠনের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

লিখিত অভিযোগে নিখোঁজের স্ত্রী মোছাম্মদ নারগিস বেগম জানান, তার স্বামী রাজাপুর উপজেলার বাইপাস মোড় এলাকার মো. খায়রুল মীর গত ৮ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হন। পরে ১১ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার সাধারণ ডায়েরী করতে যান তিনি। 

পুলিশ নিখোঁজের ডায়েরী না করে তাকে নানা ভাবে হয়রানি করতে থাকেন তাকে। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি ফের থানায় গেলে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর রাখে পুলিশ। পরে জিডির একটি রিসিভ কপি দেয়া হয় তাকে। বাড়ি ফিরে তিনি জিডির কপিটি সবাইকে দেখালে জানতে পারেন, ‘তার স্বামী একজন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী এবং মাদক আনতে গেলে নিখোঁজ হয়েছে’ উল্লেখ করে জিডি করা হয়েছে। তিনি কেবল স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন হওয়ায় থানায় বসে জিডিতে কী লেখা হয়েছে তা বুঝতে পারেন নি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে তার স্বামীকে স্থানীয় একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র অপহরণ করে গুম করেছে বলে ধারণা করে প্রথমে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মুনীর উল গীয়াস মামলা না নিয়ে খারাপ ব্যবহার করে তাকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ওসির সখ্যতা এবং তাদের কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয়ারও অভিযোগ করেন নারগিস বেগম।  

সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ ব্যক্তির বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে মারিয়া (১৩) ও তাসিয়া (৩) উপস্থিত ছিলেন। নারগিস বেগম বলেন, খায়রুল মীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আমার দেবর মীর সিরাজ বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে ৫ জন নামধারীসহ আরও অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হল গালুয়া দুর্গাপুরের সৈয়দ বশিরের ছেলে জেহাদ, খসরু তালুকদারের ছেলে মাদক সম্রাট রিয়াদ, ফিরোজ তালুকদারের ছেলে কাজল, সরিফুল আলমগীরের স্ত্রী পলি বেগম, মৃত. লতিফ খা’র ছেলে রুস্তম। আমার স্বামী খাইরুল মীরের মামলার আসামীরদে সাথে এক সময় সখ্যতা ছিল। কিন্তু আসামিদের সমাজে খারাপ পরিচয়ের কারণে আমার স্বামী তাদের সঙ্গ ত্যাগ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিশোধ নিতে এবং তাদের গোপন খবর ফাঁস হওয়ার ভয়ে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার ষরযন্ত্রে লিপ্ত হয়।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে করা এসব অভিযোগের ব্যপারে রাজাপুর থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।


বিডি প্রতিদিন/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর