২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৯:৩৯

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন সাময়িক বন্ধ

নভেম্বরের মাঝামাঝি উৎপাদনের সম্ভাবনা

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন সাময়িক বন্ধ

ফাইল ছবি

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনশীল ১২০৭ নম্বর কোল ফেইসে মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এবার ১২১০ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন করা হবে। এক্ষেত্রে ১২০৭ নম্বর ফেইসে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১২১০ নম্বর ফেইসে স্থাপন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত দেড় মাস সময় লাগবে। অর্থাৎ নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বর্তমানে খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৩ লাখ টন কয়লা মজুদ রয়েছে। যা দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির দু’টি ইউনিট প্রায় চার মাস চালু রাখা যাবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ জানান, খনির কয়লা উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। উৎপাদনশীল ১২০৭ নম্বর কোল ফেইসে উত্তোলনযোগ্য মজুদ কয়লা শেষ হয়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার থেকে খনির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একটি ফেইসের কয়লা উত্তোলন শেষ হলে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়ে নতুন ফেইসে স্থাপনের জন্য ৪০-৪৫ দিন সময় লাগে। এছাড়া এসময়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। এজন্য কয়লার উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১২১০ নম্বর ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাছাড়া কয়লা উৎপাদন বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখতে জ্বালানির সমস্যা হবে না। 

উল্লেখ্য, ১২১০ নম্বর ফেইসটিতে উত্তোলনযোগ্য কয়লার পরিমাণ ৪ লাখ ৭ হাজার টন। ইতোমধ্যে ১২০৭ নম্বর ফেইসে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১২১০ নম্বর ফেইসে স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। বড়পুকুরিয়া খনির ১২০৭ নম্বর কোল ফেইস থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয় গত বছরের ২০ মার্চ। এ ফেইস থেকে কয়লা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ লাখ টন। অর্জিত হয়েছে ৫ লাখ ৮০ হাজান টন।  


বিডি প্রতিদিন/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর