১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:২৮
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ

বিল তুলে নেয়ার পর দ্বিতীয় দফায় সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বিল তুলে নেয়ার পর দ্বিতীয় দফায় 
সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু

নামমাত্র সংস্কার কাজ করে আগেই বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার। কিন্তু সেই সংস্কার কাজ দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ায় দেখা দিয়েছে বিপত্তি। সংস্কার কাজ করার ২/৩ মাসের মধ্যেই আবার ওই সড়ক খানাখন্দে ভরে গেলে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় কর্তৃপক্ষের।

বরিশালের গৌরনদী-আগৈলঝাড়া-গোপালগঞ্জ-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের আগৈলঝাড়া বাইপাস থেকে পয়সারহাট পর্যন্ত বরিশাল অংশের ১১ কিলোমিটার সড়কে ফের নিজ দায়িত্বে সংস্কার কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার। গতকাল সোমবার থেকে ওই কাজ শুরু হয়। তবে এবারও দায়সারাভাবে সংস্কার কাজ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, গেল ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে ১১ কিলোমিটারের সড়কটি সংস্কারে দুটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়। গত মে মাসে আগৈলঝাড়া বাইপাস রোড থেকে পশ্চিমে ৩৮ লাখ টাকা টাকা ব্যয়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ পান মেসার্স সান্টু ট্রেডার্সের মালিক আলাউদ্দিন ভূইয়া এবং ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাইপাসের শেষ মাথা থেকে পয়সারহাট বরিশাল অংশের ৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ পান সেরনিয়াবাত ট্রেডার্সের মালিক কাজল সেরনিয়াবাত।

সেরনিয়াবাত ট্রেডার্সের ব্যানারে ৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ করেন স্থানীয় ঠিকাদার আবু হানিফ সরদার। উভয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই সময় নাম নামমাত্র সংস্কার কাজ করে জুন মাসে সমূদয় বিল উত্তোলন করে নেয়।

নাম না প্রকাশের শর্তে বরিশাল সড়ক বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, সড়কে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানসমূহে সিলকোড ও নিম্নমানের ইট দিয়ে গর্ত ঢেকে দিয়ে কোনমতে সংস্কার কাজ শেষ করে। ২/৩ মাস না যেতেই ওই সড়কে পুনরায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এ কাজে সরকারের ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।

এ সংক্রান্ত খবর জানার পর বরিশাল সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই নির্দেশ মোতাবেক বরিশাল সড়ক বিভাগ কর্মকর্তারা ঠিকাদারদের ডেকে পূর্বের বরাদ্ধে ভালোভাবে সড়ক সংস্কারের পরামর্শ দেন।দ্রুত সড়ক সংস্কার না হলে সড়ক বিভাগ দুর্নীতি আইনে মামলা দায়েরের হুশিয়ারি দেন ঠিকাদারদের।

নিম্নমানের কাজের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারদ্বয় জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ স্থায়ী হয়নি। তাই আবারও সংস্কার করা করা হচ্ছে।

বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, ঠিকাদারের নিজের খরচে দরপত্র অনুযায়ী সংস্কার কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ঠিকাদার নতুন করে সংস্কার কাজ শুরু করেছে। সংস্কার কাজ মানসম্মত না হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর