১৭ অক্টোবর, ২০১৭ ২০:৩২

নাটোরের উত্তরা গণভবনের গাছ কাটার তদন্ত শুরু

নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের উত্তরা গণভবনের গাছ কাটার তদন্ত শুরু

উত্তরা গণভবনের আঙিনার ভেতরের গাছ কাটার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এই তদন্ত শুরু করেন। তদন্ত শেষে আজই প্রধান প্রকৌশলীর কাছে তাঁর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার কথা রয়েছে।

রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান সকাল থেকেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তিনি গণভবন পরিদর্শন করেছেন। এসময় তার সঙ্গে নাটোরের জেলা প্রশাসকসহ অন্য কর্মকর্তারা ছিলেন। পরে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রকৌশলী জিল্লুর  রহমান।

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, নাটোর জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে উত্তরা গণভবনের একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। এই কমিটিকে না জানিয়ে গণপূর্ত বিভাগের গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ভেতরে কর্মচারীদের আবাসিক এলাকা তৈরি করেছে। এসব বিষয়ে দুপুরে ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি সভা আহ্বান করা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের দিঘাপতিয়া এলাকায় ১৯৪৫ দাগের ৪১ দশমিক ৫০ একর জমির ওপরে এই রাজবাড়ি অবস্থিত। বর্তমানে এটি এক নম্বর খাসখতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। দিঘাপতিয়ার সর্বশেষ রাজা কুমার প্রভুনাথ ভারতে চলে গেলে ১৯৫৬ সালে প্রশাসন রাজবাড়িটি অধিগ্রহণ করে। ১৯৬৭ সালে সরকার এ রাজপ্রাসাদকে গভর্নর হাউস ঘোষণা করে।

১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেটিকে গণভবনে রূপান্তর করেন। একাধিকবার এখানে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হয়েছে। রাজপ্রাসাদের আঙিনার ভেতরে তিন শতাধিক আমগাছ, ২৫৬টি নারিকেলগাছ, ১৫০টি সুপারিগাছসহ ১২ রকমের মৌসুমি ফলের গাছ রয়েছে। এ ছাড়া প্রসাদের ইতালিয়ান গার্ডেনে রয়েছে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে এনে লাগানো দুর্লভ প্রজাতির গাছ।


বিডি প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর