১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ২১:০৪

লামায় ওএমএসের চাল কালোবাজারি

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান):

লামায় ওএমএসের চাল কালোবাজারি

বান্দরবানের লামায় কালোবাজারে সরকারি ওএমএসের চাল স্থানীয় জনসাধারণ জব্দ করেছে। আজ বিকেলে লামা পৌরসভার ছাগলখাইয়ার দিল মোহাম্মদের দোকানে ওএমএসের চালের বস্তা পরিবর্তনের সময় জনগণ তাদের ধরে ফেলে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলন কান্তি চাকমা আলীকদমে অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, আমার লোকবল কম বিধায় আমার করার কিছুই নাই।

স্থানীয়রা জানান, লামা পৌরসভার ছাগলখাইয়া এলাকার  দোকানদার দিল মোহাম্মদ সরকারী ওএমএসের চাল কালোবাজারে ক্রয় করে চড়া মূল্যে বিক্রি করে। প্রতিনিয়ত এই অনিয়ম করলে আজ বিকালে সরকারী বস্তা হতে প্লাস্টিকের বস্তায় পরিবর্তন করার সময় স্থানীয় জনসাধারণের নজরে আসলে জনগণ ধরে ফেলে। সাধারণ মানুষ ওএমএস ডিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করতে গেলে ডিলারগণ চাল নাই মর্মে ফেরত দেন। অভিযোগ উঠেছে, ওএমএস ডিলারগণ চড়া মূল্যে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রয় করে।

অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, লামা বাজারে ওএমএসের চাল বিক্রি করার জন্য ৬জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। সপ্তাহে ৬দিন ডিলারগণ প্রতিদিন ৩ মেট্রিকটন করে চাল বিক্রয় করার কথা। চাল বিক্রয় তদারকি করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলেও অনেক তদারকি কর্মকর্তা ডিলারের গুদাম চিনেন না। ডিলারগণ নিজেদের কে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতাদের আর্শীবাদপুষ্ট দাবি করে সরকারী খোলা বাজারের চাল দেদারছে কালোবাজারে বিক্রয় করছে। গত ১৫ অক্টোবর ওএমএসের চাল বিক্রির সর্বশেষ তারিখ থাকলেও সরকারী অপর আদেশে তা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে ওএমএস চাল তদারকী না করার জন্য উপজেলা খাদ্য অফিসের মাধ্যমে ওএমএস ডিলারগণ অনৈতিক সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। 
দোকানদার রশিদা বেগম জানান, আমি কয়েকজন মানুষ দিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১ বস্তা করে চাল সংগ্রহ করেছি। ছাগলখাইয়ার নিকটবর্তী লাইনঝিরি পয়েন্টের ডিলার অপু দাশ এর পক্ষে বড় ভাই বাবুল দাশ জানান, এই চাল আমার না।   

এবিষয়ে ওএমএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মন্ডল জানান, ডিলার প্রতিদিনকার ন্যায় আমার কাছে বিতরণকৃত মাস্টাররোল নিয়ে আসে, আমি প্রতিদিনকার ন্যায় মাষ্টাররোলে স্বাক্ষর করেছি। ডিলারের গুদামে কি পরিমাণ চাল মজুদ আছে বা কি পরিমাণ বিতরণ করেছে তা আমার জানা নেই। 
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু জানান, অভিযোগকারীরা আমার কাছে এসেছে। 
বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর