১৯ অক্টোবর, ২০১৭ ১৪:২৯

অনৈতিক কাজের অভিযোগে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রামে উত্তেজনা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:

অনৈতিক কাজের অভিযোগে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রামে উত্তেজনা

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামে অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে এক নারীসহ দু'জনকে গাছে বেঁধে পিটিয়েছে সমাজপতিরা। পরে সালিশ বিচারের মুখোমুখি হওয়ার শর্তে তাদেরকে মুক্ত করা হয়। বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আজ গ্রামে সালিশ হওয়ার কথা রয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসানুজ্জামান হাসান বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই গ্রামের সেন্টু রহমানের বাড়িতে যান। এ সময় অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুলে কতিপয় যুবক হাসান ও সেন্টুর স্ত্রী বিউটিকে একটি ঘরে আটক করে। পরে বাড়ির সামনের একটি গাছে তাদেরকে এক দড়িতে বাঁধা হয়। চলে মারপিট। প্রায় দু’ঘণ্টা নির্যাতনের পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালিশে বিচারের শর্তে তাদেরকে দড়ির বাঁধনমুক্ত করা হয়। তবে সেন্টুর স্ত্রী বিউটিকে তুলে দেয়া হয় হাসানের বাড়িতে। এ নিয়ে গ্রামে উত্তেজনা চলছে। 

এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার হাসান জানান, ‘সেন্টু দিনমজুর। আমি কামলা খুঁজতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। এ সময় গ্রামের একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদেরকে ঘরে আটকে রাখে। পরে গাছে বেঁধে নির্মম নির্যাতন চালায়।’ 
তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামের ছাদেক আলীর ছেলে ওসমান, জামিল হোসেনের ছেলে কালাম, আসাদুলের ছেলে পলাশ, জালাল উদ্দিনের ছেলে মনোয়ারসহ বেশ কয়েকজন তাদেরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করে। 

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ সত্য হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর