২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ২০:৩৭

বগুড়ায় পানিতে লুটোপুটি খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ায় পানিতে লুটোপুটি খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

বগুড়ার শেরপুরে আগাম জাতের ধান পাকা শেষে কাটার অপেক্ষায় থাকায় আমন চাষিদের মাথায় বাজ পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে উপজেলার ধান ক্ষেত ডুবে গেছে। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় শত শত বিঘা আমন ফসল ও সবজি ক্ষেত মাটির সঙ্গে মিশে পানির মধ্যে হাবু ডুবু খাচ্ছে। ফলে আমন ধানে চিটা হয়ে ফলন কমে যাওয়া ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন।

বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতের কর্তাদের দাবি, ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণ হলেও আমন ফসল ও সবজি ক্ষেতের তেমন কোন ক্ষতি হবে না। টানা তিনদিনের বর্ষণে পানিতে লুটোপুটি খাচ্ছে আমন চাষিদের স্বপ্ন।
স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এছাড়া ১হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে রকমারি সবজি চাষ হয়েছে। গেল দুইদিনের ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে এসব জমির ফসল কমবেশি ক্ষতি হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী, মির্জাপুর, বিশালপুর, কুসুম্বী, গাড়ীদহ, খামারকান্দি, সুঘাট, সীমাবাড়ী ও ভবানীপুর ইউনিয়নে লাগানো শতশত বিঘা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জমির আমন ধান কাদামাটির সঙ্গে লেপ্টে গেছে। কিন্তু কিছুই করতে পারছেন না।
বগুড়ার শেরপুর উপজেরার সাধুবাড়ী গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম ও গোলাম রব্বানী জানান, এখনও আমন ক্ষেতের মধ্যে পানি জমে রয়েছে। দ্রুত পানি না সরলে শীষ ফলার আগেই যেসব জমির ধান মাটিতে মিশে গেছে সেসব জমির ধানে চিটা হবে। আর আধা পাকা জমির ধানগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাবে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন। একইভাবে গাড়িদহ এলাকার সবজি চাষি রফিকুল ইসলাম ও শাহীন আলম জানান, এ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে বছরজুড়েই সবজি চাষ হয়। এসব গ্রামের অধিকাংশ সবজি ক্ষেতে এখন হাটুপানি। ফলে নিচু এলাকায় লাগানো শিম, কপি, মূলা ও বেগুন গাছ মরে যাচ্ছে। এছাড়া সবজি ক্ষেত থেকে শিগগিরই পানি না সরলে চাষিদের আরও সর্বনাশ হয়ে যাবে তারা জানান।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খাজানুর রহমান জানান, ঝড়ো হাওয়া ও অতিবৃষ্টিতে ৭০০ হেক্টর আমন জমির ফসল ও ১০-১২ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেলেও তেমন ক্ষতি হবে না। ইতিমধ্যেই সূর্যের দেখা পাওয়া গেছে। অধিকাংশ জমির পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই বলে এই কর্মকর্তা দাবি করেন।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর