২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ১৫:২০

খেজুরের রস সংগ্রহে গাছিরা

নাটোর প্রতিনিধি:

খেজুরের রস সংগ্রহে গাছিরা

ভোরের কুয়াশাই বলে দিচ্ছে শীত খুব কাছেই। তাই শীতের মৌসুমে  মৌসুমী আয়ের লক্ষে উদ্যোগী হয়ে উঠেছে নাটোরের বড়াইগ্রামের শত শত গাছি। 

উপজেলা ৭ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার সড়ক ও বসতবাড়িতে থাকা খেজুর গাছ গুলো পাতা ও গাছের ছাল-বাকল ছেটে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন গাছিরা। 

ধারণা করা হচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই খেজুরের গুড়ের জন্য জেলার  অন্যতম বড় পাইকারী বাজার বনপাড়া হাটে গুড় কেনা- বেচা শুরু হবে। 

মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার বনপাড়া, ভবানীপুর, জোয়াড়ি, তিরাইল, জোনাইল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের পাশে ও বসতবাড়ির অধিকাংশ গাছই খেজুরের রস আহরণের জন্য প্রস্তুত করে ফেলেছেন গাছিরা।

কালিকাপুর গ্রামের গাছি হাছেন আলী জানান, নিজের বাড়িতে মাত্র ৩টি খেজুরের গাছ রয়েছে। এই গাছ সহ মোট ৫৬টি গাছ তিনি রস আহরনের জন্য প্রস্তত করেছেন। যা আগামী ৮/৯দিন পর খেজুরের রস নামানোর জন্য উপযোগী হবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও জানান, প্রতি গাছ চলতি মৌসুমে (কার্তিক থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত) ২০০ টাকায় লীজ নেয়া হয়েছে গাছের মালিকদের কাছ থেকে।

ভবানীপুরের  গাছি কার্তিক চন্দ্র জানান, তিনিও এবারে ৬৭টি গাছ লীজ নিয়ে রস আহরনের জন্য প্রস্তত করেছেন। তবে জ্বালানী খরচ বেশী হওয়ায় রস সংগ্রহ করে তা জ্বালিয়ে গুড় বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আরও জানান জ্বালানির সংকট না হলে অনায়াশেই লাভ হবে।  এক্ষেত্রে  জ্বালানির অভাব হলে দুই/এক মাস না যেতেই অনেক গাছি রস আহরনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।  

উপজেলা কৃষি অফিসার  মো. ইকবাল হোসে, আমরা বেশি গুড় উৎপাদনের জন্য কৃষকদের খেজুরের গাছ লাগানোর জন্য বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকি। তারা যত বেশি খেজুর গাছ লাগাবে তত বেশি উৎপাদন হবে। খেজুরের রস ও গুড় বিক্রি করে তারা লাভবান হতে পারবে।

বিডি প্রতিদিন/ ২৪ অক্টোবর, ২০১৭/ ই জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর