বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া কারণে মংলা বন্দর জেটি, হাড়বাড়িয়া ও বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত খাদ্য, সার, ক্লিংকারসহ মোট ২১টি দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস এবং পরিবহন কাজ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় সুন্দরবনের দুবলা, মেহেরআলী, আলোরকোল, মাঝেরকিল্লা, শেলার ও নারকেলবাড়িয়া চরসহ বিভিন্ন নদী-খালে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক শত ফিশিং ট্রলার। আবহাওয়া অফিস মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। নিম্নচাপের প্রভাবে গত তিনদিন ধরে উপকূল জুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মংলা বন্দরসহ আশাপাশের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দর জেটি, হাড়বাড়িয়া ও বহিঃনোঙ্গরে অবস্থানরত খাদ্যশস্য, সার, ক্লিংকারসহ মোট ২১টি দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।অন্যদিকে, নিম্মচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারছেনা সুন্দরবনের দুবলারচর, মেহেরআলীরচর, আলোরকোল, মাঝেরকিলা, শেলারচর, নারকেলবাড়িয়া চরের কয়েক হাজার জেলে। বৈরী আবহাওয়া কারনে সুন্দরবনের বিভিন্ন চর ও উকূলের বিভিন্ন নদী-খালে কয়েক শত ফিশিং ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ।
সুন্দরবনের দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বৃষ্টির কারণে আহরণকৃত মাছ যেমন শুকানো যাচ্ছে না তেমনি সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা মাছ শিকার করতেও যেতে পারছে না। শত-শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনের নদী-খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর
