১৮ নভেম্বর, ২০১৭ ১৮:৪৮

রাঙামাটিতে চাঁদাবাজদের আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন

ফাতেমা জান্নাত মুমু,রাঙামাটি:

রাঙামাটিতে চাঁদাবাজদের আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন

রাঙামাটিতে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে চাঁদাবাজী। নামধারী বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের নামে চলছে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। কখনো চাঁদার রশিদ দিয়ে। আবার কখনো দল-বল নিয়ে। পাহাড়ে রাতে আঁধারে নয়, এখন দিন-দুপুরেও চাঁদাবাজীদের কর্মকান্ড সক্রিয়। চাঁদা না দিলে সন্ত্রাসীদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হতে হচ্ছেন সবাইকে। এসব চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেউ। এঘটনায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে এলাকায়। 

অভিযোগ উঠেছে, পার্বত্যাঞ্চলের প্রতিটি মানুষকে চাঁদা দিয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। কাঠ, বাঁশ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, বাগান ও কৃষি জমির মালিক, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও চাঁদা আদায় করে সশস্ত্র গ্রুপগুলো। তাদের হাত থেকে ছাড় পাচ্ছেনা গরিব কলা ব্যবসায়ী ও চায়ের দোকানদারও। পাহাড়ে উৎপাদিত প্রতিটি পণ্যণের উপর চাঁদার হার নিধারণ করে দিয়েছে তারা। এমনকি ব্যবসায়ীদের আয় দেখে বাড়ানো হয় চাঁদার অংক। এখন আতঙ্ক বেড়েছে টুরিস্ট বোট ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। অন্যদিকে, গত শুক্রবার  রাঙামাটির ঝুলন্ত ব্রীজ ঘাট থেকে একটি ইঞ্জিনবোট নিয়ে কাপ্তাই লেকে নৌ ভ্রমণে সুবলং ঝরনা স্পট বেড়াতে যান বাইরে থেকে আসা ৮ পর্যটক। ফেরার পথে পর্যটকরা খাবার খেতে ওঠেন চাংপাং নামে একটি রেস্টুরেন্টে। ওই সময়ের মধ্যে দু’জন  মুখোশধারী উপজাতি যুবক বোটটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে। এসময় বোট চালক উলুক্ক চাকমা হ্রদের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজেকে জীবন রক্ষা করে। এঘটনায় চাপা আতঙ্ক বিরাজ করে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে।

এব্যাপারে রাঙামাটি পর্যটন বোট মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পর্যটন নৌ-যান ঘাটের ম্যানেজার মো. রমজান আলী জানান, টুরিস্ট বোট ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনগুলোকে চাঁদা দিতে হয়। কিন্তু এ বছর তাদের চাঁদার পরিমাণ দিগুন। তাই আমরা এত টাকা দিতে পারিনি। কারণ রাঙামাটিতে টুরিস্ট বোট ব্যবসা আগের মত জমছে না। কিন্তু তারা সে কথা মানতে নারাজ। তাই তারা টুরিস্ট বোটে আগুন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছে। কিন্তু এঘটনা নতুন না । চাঁদার দাবিতে ২০০৯ সালেও আমাদের একটি টুরিস্ট বোট দূর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।

রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। কোন চাঁদাবাজ ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে। আর নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাবহত রয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর