১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ১৫:৪৪

শেরপুরে বন বিভাগের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

শেরপুর প্রতিনিধি :

শেরপুরে বন বিভাগের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনি বীট এলাকার ‘ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের’ ভূমিহীনদের রোপিত বিভিন্ন ফলদ, বনজ বৃক্ষ কর্তন এবং মৎস ও গবাদি পশু  লুট করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয়রা।

রবিবার শহরের নিউমার্কেটস্থ হোটেল সম্রাটের পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছিঝনুক গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুল হাই এর পক্ষে তার ভাতিজা মো. নজরুল ইসলাম। 

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভূমিহীনদের পক্ষে অর্থদাতা শামীমূর হোসেন ও ফিরোজ ভূইয়া। সংবাদ সম্মেলনে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের অন্যান্য উপকারভোগীরাও উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯০ সালে সরকার ঝিনাইগাতি উপজেলার পাহাড়ি গজনি মৌজায় স্থানীয় ভূমিহীনদের সমন্বয়ে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের নামে ২৫.৯২ একর খাস জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সাল থেকে সেখানে তাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য নিজেরাই অন্যের অর্থায়নে প্রায় ১৬ হাজার বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বৃক্ষ এবং বিভিন্ন সাক-সবজি ও পশু-পালনের জন্য প্রকল্প গড়ে তুলেন। 

কিন্তু গত ১৫ অক্টোবর স্থানীয় বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোন রকম নোটিশ জারি ছাড়াই রাতের আধাঁরে আমাদের সেসব বৃক্ষ কর্তন করে এবং পশু-পালন খামারের হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত বিষয়টি ঝিনাইগাতি থানায় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও প্রশাসন এ বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন। 

এদিকে বন বিভাগের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করেন রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, বন বিভাগের জমি তৎকালীন জেলা প্র

শেরপুরে বন বিভাগের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ
শেরপুর প্রতিনিধি : 
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার গারো পাহাড়ের গজনি বীট এলাকার ‘ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের’ ভূমিহীনদের রোপিত বিভিন্ন ফলদ, বনজ বৃক্ষ কর্তন এবং মৎস ও গবাদি পশু  লুট করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয়রা।

রবিবার শহরের নিউমার্কেটস্থ হোটেল সম্রাটের পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছিঝনুক গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুল হাই এর পক্ষে তার ভাতিজা মো. নজরুল ইসলাম। 

এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ভূমিহীনদের পক্ষে অর্থদাতা শামীমূর হোসেন ও ফিরোজ ভূইয়া। সংবাদ সম্মেলনে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের অন্যান্য উপকারভোগীরাও উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯৯০ সালে সরকার ঝিনাইগাতি উপজেলার পাহাড়ি গজনি মৌজায় স্থানীয় ভূমিহীনদের সমন্বয়ে ঝিনুক গুচ্ছ গ্রামের নামে ২৫.৯২ একর খাস জমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সাল থেকে সেখানে তাদের আর্থিক উন্নয়নের জন্য নিজেরাই অন্যের অর্থায়নে প্রায় ১৬ হাজার বিভিন্ন ফলদ ও বনজ বৃক্ষ এবং বিভিন্ন সাক-সবজি ও পশু-পালনের জন্য প্রকল্প গড়ে তুলেন। 

কিন্তু গত ১৫ অক্টোবর স্থানীয় বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী কোন রকম নোটিশ জারি ছাড়াই রাতের আধাঁরে আমাদের সেসব বৃক্ষ কর্তন করে এবং পশু-পালন খামারের হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত বিষয়টি ঝিনাইগাতি থানায় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিলেও প্রশাসন এ বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন। 

এদিকে বন বিভাগের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করেন রাংটিয়া রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানায়, বন বিভাগের জমি তৎকালীন জেলা প্রশাসক ভুলক্রমে বন্দোবস্ত দিলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশে ওই জমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদ করা হয়। এসময় বেশ কয়েটি টিনসেড স্থাপনা ও সামান্য কিছু গাছ কাটা পড়ে।

বিডি-প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব

শাসক ভুলক্রমে বন্দোবস্ত দিলেও পরবর্তীতে তা বাতিল করা হয়। এছাড়া আদালতের নির্দেশে ওই জমি থেকে অবৈধ উচ্ছেদ করা হয়। এসময় বেশ কয়েটি টিনসেড স্থাপনা ও সামান্য কিছু গাছ কাটা পড়ে।

বিডি-প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর