শিরোনাম
১৯ নভেম্বর, ২০১৭ ২১:৪২

নাটোরে জোড়া খুন

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে জোড়া খুন

নাটোর সদর উপজেলার দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামে মা ও শিশু পুত্রকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আলম সর্দার (২৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রবিবার রাত ৯টায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে

নিহতরা হলেন নাটোর সদর উপজেলার দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামের আলম সর্দারের মা বিলকিস বেগম (৪২) এবং তার পঞ্চমশ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে আলিফ সর্দার।

এ সময় আলম তাঁর বাবা শাহাদৎ সর্দারকেও কুপিয়ে জখম করেছে। এলাকাবাসী অভিযুক্ত আলম সর্দারকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
 
নাটোর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত আটটার দিকে দস্তানাবাদ  ফকিরপাড়া গ্রামের শাহাদৎ সর্দারের বাড়িতে হৈ চৈ শুনে গ্রামবাসী সেখানে যায়। এ সময় ওই বাড়িতে আলম সর্দারের ছেলে পিএসসি সমাপনী পরীক্ষার্থী আলিফ সর্দার (১১) ও তার দাদি বিলকিস বেগমকে গলা কাটা অবস্থায় দেখতে পান। ঘটনার সময় আলমের বাবা সাহাদৎ সর্দার বাড়ির বাইরে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ঢোকা মাত্র তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে নিজের ছেলে আলম সর্দার। রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসী তাকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গ্রামবাসী তাৎক্ষণিকভাবে আলম সর্দারকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে হেফাজতে নেয়। 

গ্রামের লোকজন জানান, আলম সর্দার ও তার বাবার মধ্যে বিরোধের জের ধরে আলম তার বউকে তালাক দেয়। বাবা-ছেলের মধ্যে আদালতে মামলাও চলছিল। সম্প্রতি বাবার জমিতে আলম নতুন বাড়ি তৈরি করলে সেই জমিও অন্য জায়গায় বাবা বিক্রি করে দেয়ার চেষ্টা করে। সম্প্রতি সে বাবা-মাকে তাঁদের জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার চাপ দিচ্ছিল। যার জের ধরেই এসব হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
  
নাটোর আধুুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কাজী মোহাম্মদ আলী রাসেল জানিয়েছেন, শাহাদৎ সর্দারের আঘাত খুবই গুরুতর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মশিউর রহমান খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত খুনিকে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি চলছে। মামলার প্রস্তুতিও চলছে।

নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, নেশাগ্রস্ত শাহ আলম ইয়াবা আসক্তিতে ছিল। পারবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে এই নৃংশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

বিডি-প্রতিদিন/১৯ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর