২১ নভেম্বর, ২০১৭ ১৫:২৯
গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার, পরিবারে শোকের মাতম

তিন দিন পর মিললো শিশু ইতির লাশ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

এলাকা শোকে নিস্তব্ধ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

তিন দিন পর মিললো শিশু ইতির লাশ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

নিখোঁজের তিন দিন পর নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মমিনপুর গ্রামের শিশু রিয়া আক্তার ইতির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মুখ ও শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ণ। ধারণা করা হচ্ছে, গনধর্ষণের পর ৮ বছরের ইতিকে মাটি চাপা দেয়া হয়।

সোমবার রাত ১১টায় মাটি চাপা অবস্থায় মমিনপুরের প্রবাসী হোসেন মোল্লার পরিত্যক্ত বাগান বাড়ী মাঠের গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইতির লাশ পাওয়ার পর পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পুরো এলাকা শোকে নিস্তব্ধ।

পরিবার ও স্থানীয় নারী-পুরুষের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠে। গরীব হতদরিদ্র পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে যেন স্থানীয়রা। সবার একটাই দাবি, এই হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।

ইতি স্থানীয় মমিনপুর তরিকুল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় ইতির মা রহিমা খাতুন পার্শ্ববর্তী পোদ্দার বাজারের একটি মোবাইল দোকানে রেখে আসা মোবাইল সেট আনতে যায়। বাড়িতে মাকে না পেয়ে পোদ্দার বাজারের দিকে রওনা দেয় ইতি। পথেই সে নিখোঁজ হয়। রাতে মসজিদের মাইকে নিখোঁজের ঘোষণা দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

সোমবার রাতে প্রবাসী হোসেন মোল্লার পরিত্যক্ত বাগান বাড়ী মাঠের গর্ত থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের মুখে ও বিভিন্ন স্থানে আঘাত রক্তাক্ত দেখা যায়। ধারনা করা হচ্ছে, গনধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়।

সোমবার গভীর রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। চাটখিল থানার ওসি তদন্ত আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে ধর্ষণের ব্যপারে এখনই মুখ খুলতে নারাজ। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/২১ নভেম্বর, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর