২১ নভেম্বর, ২০১৭ ১৫:৪৮

মজুরি-বৈষম্যে ভালো নেই পঞ্চগড়ের নারী চা-শ্রমিকরা

সরকার হায়দার, পঞ্চগড়:

মজুরি-বৈষম্যে ভালো নেই পঞ্চগড়ের নারী চা-শ্রমিকরা
কাকডাকা ভোরে সংসারের সব কাজ গুছিয়ে চা বাগান বা চা কারখানায় ছুটে যেতে হয় পঞ্চগড়ের নারী চা-শ্রমিকদের। কোলের বাচ্চাকে সাথে নিয়ে অথবা কারো কাছে রেখে সারাদিনের মতো কাজে বের হয়ে পড়েন নারীরা। রোদ-বৃষ্টি কিংবা কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে সারাদিন চা-পাতা তোলা অথবা কারখানার বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের। কিন্তু কম মজুরি আর মজুরি বৈষম্য বেশি দূর এগোতে দেয়নি  নারী চা-শ্রমিকদের। ভাত-কাপড় আর সাবানে খুশি থাকলেও কাজ হারানোর ভয়ে অনেকেই বৈষম্য ও কম মজুরির কথা কারো সামনে বলতে রাজি হন না।
 
চা-বাগান ও কারখানায় পুরুষদের পাশাপাশি সমানতালে কাজ করে নিজেদের ভাগ্য গঠনে নারীরা এগিয়ে গেলেও কম মজুরি ও প্রকট বৈষম্যের কারণে আত্নবিশ্বাস নিয়ে মুখ তুলে দাঁড়াতে পারছেন না এসব নারী। সামান্য এই আয় দিয়ে লবন আনতে পানতা ফুরিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তাদের।  নারী শ্রমিকরা জানিয়েছেন, চলতি বাজারের সঙ্গে সারাদিনের মজুরির টাকা দিয়ে ২ কেজি চালও কিনতে পারছে না তারা। এমন অবস্থা চলতে থাকলে তাদের অবস্থা আগের চেয়েও আরো খারাপের দিকেই যাবে। 
 
তবে এ ব্যাপারে চা-বাগানের মালিক বা কারখানা মালিক, ম্যানেজার কেউ কথা বলতে রাজি হননি। পঞ্চগড় জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুখসানা মমতাজ মজুরি বৈষম্যকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চা-বাগান বা কারখানায় নারী শ্রমিকদের অতি সামান্য মজুরি দেয়া হচ্ছে।  এটা অমানবিক। ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান।   

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর