২১ নভেম্বর, ২০১৭ ১৬:৪৩

নাটোরে পৌর মেয়রকে আদালতের শোকজ

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে পৌর মেয়রকে আদালতের শোকজ

নাটোর শহরে ঐতিহ্যবাহী বাহদুর শাহ্ পার্কে বহুতল বিশিষ্ট বিপণী বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় আদলত পৌর মেয়র এবং এলজিইড’র নির্বাহীকে প্রকৌশলীকে আদালত দশ দিনের শোকজ নোটিশ দিয়েছে। 

নাটোর সদরের সিনিয়র সহকারী জজ মোহা. আসাফ উদ্ দৌলার আদালতে সোমবার বাদী হয়ে বিপনী বিতান নির্মাণ কাজ বন্ধের আদেশ চেয়ে নাটোর শহরের বিশিষ্ট সমাজ কর্মী ও নজরুল মঞ্চের সভাপতি মো. গোলাম কামরান, আইনজীবী ও ক্রীড়াবিদ মো. আজিজার রহমান খান চৌধুরী আমেল এবং আইনজীবী ও সুজনের যুগ্ম সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম একটি মামলা করলে বিচারক বিকালে ওই শোকজ করে দশদিনের মধ্যে উত্তর দিতে আদেশ দিয়েছেন। 

প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরাতন এই পৌর এলাকার লালদীঘির পশ্চিমে পীলখানা সোনাপট্টিতে নয় শতক জমি ওপরে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব বাহদুর শাহ্ এর নামে ১৯৫৭ সালে শহরবাসীর চিত্ত বিনোদনের জন্য একটি পার্ক নির্মাণ করা হয়। এরপরে ১৯৮৭ সালে ওই বাহাদুর শাহ পার্কের জমিতে তদানীন্তত চেয়ারম্যান শংকর গোবিন্দ চৌধুরী একটি মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নিলে পৌর নাগরিকদের পক্ষে ডা. ময়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্মাণ কাজটি বন্ধ করে দেয়। এরপরে ২০০১ সালের দিকে তদানীন্তন পৌর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ওই পার্কের কিছু অংশে কয়েকটি টয়লেট ও কয়েকটি দোকান বিশিষ্ট একটি একতলা মার্কেট তৈরি করে পার্কের পরিবেশটি নষ্টের কাজ শুরু করেন। এরপর থেকেই পার্কটি চিত্ত বিনোদনের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়ে। প্রয়াত চোরম্যান শঙ্কর গোবিন্দ চৌধুরীর কন্যা বর্তমান মেয়র উমা চৌধুরী জলি বাহাদুর শাহ পার্কের ভিতরে ৯৩ লাখ টাকা ব্যায়ে ২১টি দোকান বিশিষ্ট একটি বিপণী বিতান নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে ১৬ অক্টোবর ই-টেন্ডার আহবান করেছেন। 

এ ব্যাপার পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, পৌরবাসীর সাথে তিনিও চিত্ত বিনোদনের পক্ষে। তবে বাহাদুর শাহ্ পার্কের নয় শতক জমির মধ্যে তিন শতকের ওপরে সাবেক পৗর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম তার সময়ে টয়লেট, মার্কেট আর কয়েকটি চায়ের দোকান করে দেয়ায় সেখানে আর পার্কের কোন পরিবেশই নেই। এখন সেখানে ফাঁকা জায়গাটি মোটর সাইকেল রাখার স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে। আর দিনে রাতে চলে মদ-গাঁজার রমরমা আড্ডা। তিনি বাহদুর শাহ্ এর নাম রেখেই মার্কেট তৈরি করে দিতে পারলে পরিবেশটি উন্নত হবে এবং পৌরসভার কিছু বাড়তি রাজস্ব আয় বাড়বে, যা দিয়ে পৌরবাসীর অন্য কোন সেবা দেয়া যাবে বলে জানান। 

বিডি-প্রতিদিন/২১ নভেম্বর, ২০১৭/মাহবুব
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর