২২ নভেম্বর, ২০১৭ ১৬:৫৪

নবাবগঞ্জে নদী ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে কয়েকটি গ্রাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি:

নবাবগঞ্জে নদী ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে কয়েকটি গ্রাম

ধীর গতিতে করতোয়া নদী ভাঙনে হারিয়ে যেতে বসেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের কয়েকটি গ্রাম। তবে নদীর গতি পরিবর্তন করতে পারলে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান। ভাঙ্গনের কবলের গ্রামগুলো হলো, নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর ইউপির করতোয়া নদী ঘেষা ভোটারপাড়া, কাঁচদহ, উ. কাঁচদহ, উ. মাঝিপাড়া ও দ. মাঝিপাড়া। 

ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, করতোয়া নদীর প্রবাহ ছিল তাদের গ্রামের প্রায় ১ কিমি পূর্ব দিক দিয়ে। সেই প্রবাহ ভাঙতে ভাঙতে এখন কয়েক বছরে গ্রাম পর্যন্ত ভাঙা শুরু হয়েছে। এতে করে অনেকের বাড়ী-ঘরসহ জায়গা জমি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। আবার নদী ভাঙনে বাড়ী-ঘর ছেড়ে যেতে হয়েছে ভোটারপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মুনছুর আলী, ইয়াকুব আলীসহ অনেককে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে হুমকির মূখে রয়েছে ওই গ্রামের আজিজুল ইসলাম ও খলিলুর রহমানসহ অনেকে। বাড়ী ভেঙে গেছে উ. মাঝিপাড়া গ্রামের মনি, নিপেন, শহিদুল, খট্টু,বকুল, বিকাশসহ ২৫-৩০ জনের। 
এছাড়াও ভাঙনের কবলে শত শত ঘরবাড়ী, ফসলি জমি, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দিরসহ অনেক সরকারী ও বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। বিনোদনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সানাউল হক জানান, উত্তর থেকে ঘৃনাই ও যমুনাশ্বরী নদী এসে ভোটারপাড়া এলাকায় করতোয়ায় মিলিত হয়ে পানির তীব্র স্রোতে এসব ভাঙন হয়ে থাকে। 

বিনোদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন জানান, প্রতিবছর নদী যেভাবে গ্রাস করছে তাতে শুধু ওই গ্রামগুলোই নয়, নদীর গতি পরিবর্তন করতে না পারলে সদ্য নির্মিত ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতুও ভবিষ্যতে হুমকির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তিনি বলেন, নদী পূর্বে যেদিক দিয়ে প্রবাহিত ছিল সেদিকে প্রবাহের ব্যবস্থা করা হলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য প্রায় ৫ কিমি নদী খনন করতে হবে। এ ব্যাপারে তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডে আবেদনও করেছেন। 

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর