শিরোনাম
২৫ নভেম্বর, ২০১৭ ১৪:৫৮
মোটর শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের মামলা

দিনাজপুরে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত

সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত

দিনাজপুরে তৃতীয় দিনের মতো পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলায় বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্যাংকলরিসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ।

এদিকে, শুক্রবার রাতে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সফিউল আলম বাদী হয়ে দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. রফিক, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বীসহ অজ্ঞাত ৫০জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ নিয়ে পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে।

এর আগে বাস পোড়ানো ও শ্রমিকদের উপর হামলার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. খালিদ হোসেনসহ ১৫০ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে দিনাজপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে প্রধান করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিরসনে দু'পক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে। 

তদন্ত কমিটির প্রধান ইমতিয়াজ হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। নির্ধারিত দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানান তিনি।

মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী জানান, পুড়িয়ে দেয়া গাড়ীর ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

আন্দোলন বেগবান করতে রবিবার থেকে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকার কথা চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে, ধর্মঘটের কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। জেলার ২৩টি রুটেই যানচলাচল বন্ধ। গত কয়েকদিন ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান চলাচল করলেও কোনও কোনও জায়গায় এগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ট্রেনের ওপর চাপ পড়েছে। সিট না পাওয়ায় ভিড়ের মধ্যেই ট্রেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। এর মধ্যেও জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ বাধ্য হয়েই গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন বিকল্প ব্যবস্থায় অনেক দুর্ভোগের মধ্যে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসকে সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের সঙ্গে মোটর পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষে কয়েকজন ছাত্রসহ শ্রমিক আহত হন। এই ঘটনায় দুটি বাসে অগ্নিসংযোগসহ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। হামলার প্রতিবাদে বুধবার রাতেই দিনাজপুর মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন অনির্দিষ্টকালের এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।

গত শুক্রবার সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জাহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সেলু, মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম. রফিক, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী, ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি শহীদুল ইসলাম, ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের মোজাফফর হোসেন ঝলু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, ট্রাক ও ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

এ সময় আন্দোলন বেগবান করতে শুক্রবার বিকাল থেকেই বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, ট্যাংকলরিসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/২৫ নভেম্বর, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর