১০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৮:০৫

রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ইউপি মেম্বারসহ আটক ৫

রাঙামাটি প্রতিনিধি:

রাঙামাটিতে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ইউপি মেম্বারসহ আটক ৫

রাঙামাটির জুরাছড়ি যুবলীগ নেতা হত্যাকান্ডের মামলায় এক ইউপি মেম্বারসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে জুরাছড়ি উপজেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। 

আটকৃতরা হলেন- জুরাছড়ি দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার লক্ষি লাল চাকমা, উত্তম কুমার চাকমা, মানষ চাকমা, রবিধন চাকমা, হেমন্ত চাকমা। 

রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.সাফিউল সারোয়ার জানান, গত ৫ ডিসেম্বর রাঙামাটির জুরাছড়ি যুবলীগ নেতা অরবিন্দ চাকমা দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়। এ হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার লক্ষি লাল চাকমাসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে, রাঙামাটিতে আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমা ও তার ছেলেসহ ১৪ জনকে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশি রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে হাজির না থাকায় আবার শুনানির পরবর্তী তারিখ মঙ্গলবার ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী মুহাম্মদ মোহসেন এ আদেশ দেন।  

পুলিশ জানায়, ৫ ডিসেম্বর জেলার বিলাইছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমাকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বেধড়ক শারীরিক নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে মারাত্মক আহত হন রাসেল মারমা। একই দিন রাতে জুরাছড়িতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেয়ায় বৃহস্পতিবার ভোরে রাঙামাটি শহরের ভালেদী আদম এলাকায় তার নিজ বাড়িতে ঢুকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝরনা চাকমার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয় তাকে।

কোর্ট পরিদর্শক ইসফিক মজুমদার জানান, বিলাইছড়ির রাসেল মারমাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় ৭ জন এবং রাঙামাটি শহরের ঝরনা খীসাকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ঝরনা খীসার মামলায় গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লিমন বোস। কিন্তু পূর্ব নির্দেশিত শুনানির দিন রবিবার আদালতে হাজির ছিলেন না দুই মামলার এ দুই তদন্ত কর্মকর্তা। তাই আবারও শুনানির পরবর্তী তারিখ ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ধার্য করেছেন আদালত। 

 

বিডি প্রতিদিন/১০ ডিসেম্বর ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর